দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্ট বিভাগের ছুটিতে পাঠানো ১২ বিচারপতির বিষয়টি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারককার্যে অংশগ্রহণে তাদেরকে বেঞ্চ দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন এ আবেদন করেন।
এতে বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবরের বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে, হাইকোর্টের ১২ বিচারপতি বেঞ্চ পাচ্ছেন না। ২০ অক্টোবর থেকে দৈনিককার্য তালিকায় এ ১২ বিচারপতিকে বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য কোনো বেঞ্চ দেয়া হয় নাই। যেসব বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হয় নাই, তাদের মধ্যে ২০২৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিও রয়েছেন। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, স্কাইপি কেলেঙ্কারি এবং কোটার জাজমেন্ট সম্পর্ককে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে বিচারপতিরা কোনো অপকর্মে জড়িত ছিলেন না। তাদেরকে দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার শপথ ভঙ্গ করিয়েছে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিতর্কিত করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, যুদ্ধাপরাধ মামলার এবং কোটার জাজমেন্ট যথাক্রমে বিদেশে বসে এবং গুলিস্তানে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে লেখা হয়েছে এবং পরে বিচারপতিদের দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ঘোষণা করানো হয়েছে। তাদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক শপথ ভঙ্গ করানো হয়েছে।
বিচারক সংকটে বিচার ব্যবস্থা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে আবেদনকারী লিখেন, এখন যদি বিচারপতিদের ছুটিতে বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে বিচার ব্যবস্থা আরও স্থবির হয়ে পড়বে। রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে। অতএব, ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দিয়ে বিচারকার্য ত্বরান্বিত করতে মহাশয়ের মর্জি হয়।
১৭ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ১৬ অক্টোবর উচ্চ আদালতের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না।
ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে রয়েছেন- বিচারপতি নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, মো. আতাউর রহমান খান, খিজির হায়াত, শাহেদ নূর উদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।
বায়ান্ন/এমএমএল/একে