- ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা বাদ পড়েছে
- বিএনপির কয়েক কর্মি কমিটির পদে
- বড় লেনদেনে কমিটির পদে এসেছে বলে অভিযোগ
হাইব্্রীড টাকা ওয়ালা লোক এনে আওয়ামীলীগের পাল্লা ভারী করার দরকার নেই। যাদের টাকা নাই, বিলাসীতা নেই, তারাই আওয়ামীলীগের নেতা এমন কথা বলেছিলেন প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের নতুন কমিটি গঠনে যেন এই বক্তব মানা হয়নি । জানা যায়, ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের নতুন কমিটি অনুমোদনের পর তালিকা প্রকাশ না করলেও সিলেকশনে যারা পদ পেয়েছে তাদের নিয়ে চলছে চাপা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা। দুর্সময়ের প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সিনিয়র কর্মিদের বাদ দিয়ে কমিটিতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, পাহাড়খেকো, ধর্ষক, একসময়ের বিএনপির আলোচিত কর্মিসহ প্রবাসীরাও নতুন কমিটিতে পদ পেয়েছে বলে জানা যায়। কিভাবে তারা কমিটিতে পদ পেলো তা নিয়ে নেতা ও কর্মিদের মাঝে অনেক প্রশ্ন মনে উকিঁ মাজছে। জানা যায়, যারা কমিটির মুল পদ পেয়েছে তাদের কয়েকজনকে নিয়ে রয়েছে ধর্ষন, খুন, ছিনতাই, পাহাড়কাটা ও সন্ত্রাসীও চাঁদাবাজীর অনেক মামলা মোকাদ্দমা। যারা পদপদবী পেয়েছেন বলে শোনা যায় তাদের কয়েকজন নেতা একসময় বিএনপির কর্মি ছিল। গুঞ্জন উঠেছে, এই ওয়ার্ডের ভোটারই নয় এমন দুজন পদ পেয়েছেন, আবার দু একজন নেতা থাকেন প্রবাসে। এদের নিয়েই গঠিত হয়েছে এবারের ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কে সদস্য হবে বা কে সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হবে তা পরিস্কার থাকা সত্বেও মানা হয়নি গঠনতন্ত্র এমন অভিযোগ ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে।
সুত্রে জানা যায়, সভাপতি পদে আব্দুল মালেক ও ইয়াকুব সমান ৪২ ভোট পেলেও আব্দুল মালেককে সভাপতি ঘোষনা করা হয়েছে। সিলেকশনের অন্যান্য পদে আসা নেতৃবৃন্দদের নিয়ে রয়েছে অনেক সমালোচনা। যার ফলে অভিষেকের আগেই সৃষ্টি হয়েছে এই এলাকার নেতা কর্মিদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা।
কমিটির এক সদস্য আব্দুল করিম বলেন, শুনেছি নতুন কমিটি হয়েছে। আমাকেও সদস্য রেখেছে। কিন্তু এখনো এক অজানা কারনে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছেনা। যার ফলে কমিটির কারু বিষয় পরিস্কার হওয়া যাচ্ছেনা। তবে যতটুকু শুনেছি অনেক দাগী আসামী ও টাকা দেওয়া হাইব্রিড নেতা ডুকেছে। এরা যদি সত্যিই পদপদবীতে আসে তাহলে এই ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের আর অস্তিত্ব থাকবেনা।
কমিটির আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন তালুকদার বলেন, শুনেছি আমাকেও সদস্য করা হয়েছে। তালিকার কাগজ এখনো পাইনি। তবে সভাপতি মালেক ভাই মৌখিক জানিয়েছে। অনেকে ফেইসবুকে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কমিটির পদ পেয়েছে বলে পোষ্ট দিচ্ছে। যারা দিচ্ছে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার যথেষ্ট সমালোচিত। যদি প্রকৃত অর্থে এরা কমিটিতে পদ পেয়ে থাকে তাহলে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওযামীলীগ সুন্দর ও কল্যানময়ের ঐতিহ্য আর থাকবেনা।
২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী আব্দুল মালেক বলেন, কমিটি অনুমোদন হয়েছে। তবে অভিষেকের আগে নতুন কমিটির কোন তালিকা দেয়া যাবেনা। ঈদুল ফিতর শেষ হলে অভিষেক হবে । সেই অভিষেকের পর আপনাকে অবশ্যই তালিকা প্রদান করা হবে, কমিটিতে পদপদবীর কয়েকজনের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ রয়েছে, এর উত্তরে তিনি বলেন, যারা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন নগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারাই মুলত ভালো বলতে পারবেন। নতুন কমিটি গঠনে কোনরুপ বানিজ্য হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনরুপ বানিজ্য হয়নি।
এ বিষয়ে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার হাতে এখনো তালিকাটা আসেনি। তালিকাটা আসলে জানতে পারবো কারা কারা কে কমিটিতে পদ পেয়েছে? কারা সদস্য হয়েছে। তবে তালিকা পাওয়ার আগেই অনেকের নাম পদ পদবীতে আছে শুনলাম। যাদের নাম শুনছি তাতে অনেকটা হতাস হচ্ছি। যদি এরা সত্যিই পদপদবিতে আসেন। তাহলে আওয়ামীলীগের এই মাদার সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটি অনেকটা স্থবির হয়ে পড়বে।