সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ করেছে। নতুন ফলাফলে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর পাশাপাশি নতুন করে আরও ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থী যুক্ত হয়েছেন।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে এই ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রথমবার ঘোষণা করা হয়। ওই ফলাফলে ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে ফলাফলের নিরীক্ষা ও সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে পিএসসি সিদ্ধান্ত নেয়, সমসংখ্যক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফল পুনঃমূল্যায়ন করে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপের ফলাফলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছিল যে, কিছু প্রার্থী হয়তো বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীদের ন্যায্যতা ও সমতার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭৫৯ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
ফল পুনঃপ্রকাশের খবর পাওয়ার পর নতুন করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। অনেক প্রার্থী বলছেন, পিএসসির এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পিএসসির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ফল পুনঃপ্রকাশের পর এখন নতুন করে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পিএসসি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার তারিখ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিসিএস পরীক্ষাকে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর লাখ লাখ প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা বিভিন্ন ক্যাডারে সরকারি চাকরির সুযোগ পান।
পিএসসির এমন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের মধ্যে বিশ্বাস এবং আস্থা জাগিয়ে তুলেছে। সরকারি চাকরির এই প্রতিযোগিতায় সাম্যতা নিশ্চিত করা ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বায়ান্ন/পিএ