ডিসেম্বরে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। এতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ কাওসারী পারভিন জানিয়েছেন, ডিসেম্বর সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এছাড়া চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও ১-২টি মৃদু (০৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (০৬-০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে ডিসেম্বরে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে। প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
অন্যদিকে চলতি মাসে দেশে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২ দশমিক ৫০-২ দশমিক ৫০ মিলিমিটার এবং গড় উজ্জ্বল সূর্যকিরণকাল হবে সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
এদিকে নভেম্বর মাসের পর্যবেক্ষণে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর দুপুর ১২টায় দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় এটি শ্রীলংকা উপকূল সংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করে, যা ১১ নভেম্বর সকাল ৬টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর তামিল নাড়ু উপকূলে অবস্থান করে। ১২ নভেম্বর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয় এবং উত্তর তামিল নাড়ু উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে এবং ১৩ নভেম্বর এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
১৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় ফের দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় এবং ১৯ নভেম্বর সকাল ৬টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চলেঅবস্থান করে। ২০ নভেম্বর সকাল ৬টায় এটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করে। ২৩ নভেম্বর লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করে এবং ২৪ নভেম্বর গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। ।
২৯ নভেম্বরে দৈনিক সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল ২৭ মিলিমিটার, টেকনাফে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১ নভেম্বর কক্সবাজারে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।