আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটানো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “জুলাই গণঅভুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই হবে এই অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।”
এদিন “জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন জুলাইয়ের মাঝামাঝি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।
তার তিনদিনের মাথায় ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর পর আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনকে জাদুঘর করার উদ্যোগও নেওয়া হয়।
বায়ান্ন/পিএইচ