জায়গা নিয়ে দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ অন্তত ২০ বছরের। এই নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান। শেষতক ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেলো পঞ্চাশোর্ধ্ব বড় ভাই আবদুর রহমানের। ঘটনার পর থেকেই ভ্রাতৃঘাতক খলিলুর রহমান বেপাত্তা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে। নারকীয় এ ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা এলাকার।
নিহত আবদুর রহমান (৫১)জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নোনাসার গ্রামের প্রয়াত আবদুল কাদির মিয়ার ছেলে। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রহমান। এর আগে সন্ধ্যায় নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছোটভাই-ভাতিজারা মিলে হামলা চালিয়ে বেধরক পিটিয়ে তাকে আহত করে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের ছোটভাই খিল বেপাত্তা।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোনাসার গ্রামের আবদুল কাদিরের দুই পুত্র আবদুর রহমান এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে বসতবাড়ি ও পুকুরের জায়গা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই। এই নিয়ে একাধিক মামলা চলমান অন্তত ২০ বছর ধরে। সোমবার বিকেলে এসব নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়িতে আসার পথে খলিলুর রহমান এবং তার ছেলে তানভীর ও বাবুসহ ৫/৬ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা আবদুর রহমানকে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছেন। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে চলছে হত্যা মামলার প্রস্তুতি।
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত খলিলুর রহমান পলাতক। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।' (ছবি : মেইলে সংযুক্ত)