আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে (২৫ এপ্রিল) রবিবার দিনগত গভীর রাতে শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌমুহনীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জেলা কমান্ডার মরহুম আলী আকবর বড় ভাইর স্ত্রী বিলকিছ ভানুসহ তার বোনদের জমিতে টেকচার ঘরের সামনে টিনের ঘর উত্তোলন করেছে ভুমিদস্যু আবু মুসা, আবুসায়েদ, আবুল খায়ের, ইয়াবা ব্যবসায়ী রহমান, সিহাব, রিমন গংরা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় এ ঘটনায় বড় ধরনের র্দূঘটনার আশংকা করছেন এলাকা বাসি।
এলাকার হারুন, রুবেল, জসিমসহ অনেকে জানান, মৃত আবদুল ওহাব হাওলাদারের শিবপুর মৌজার ৫২৫ নং খতিয়ানের ১০৩৫ নং দাগের ১৮ শতাংশ জমি ৫ মেয়েকে বন্টক করে দেন। ৫ বছর আগে মেয়েরা ওই জমিতে ছোট একটি টেকচার ঘর করে। ওই জমির উপর ওই বাড়ির মৃত বারেকে ছেলেদের লোভ পরে। তারা জমি নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ওই জমিতে পাকা দোকান ঘন নির্মান শুরু করে। মেয়েদের পক্ষে মিজানুর রহমান ভোলা সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, থানা থেকে পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জবর দখল কারীদের ২ জনকে আটক করে কোটে সোপর্দ করে এবং ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। ১১ এপ্রিল বিলকিছ ভানুর ছোট ভাই মাজেদ হাওলাদার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৯৩/২০২২ ইং। কোট থেকে ১১ এপ্রিল ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভুমি দস্যু আবু মুসা, আবু সায়েদ,আবুল খায়ের, ইয়াবা ব্যবসায়ী রহমান, সিহাব, রিমন গংরা সোমবার দিনগত রাতে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বোনদের টেকচার ঘরের সামনে টিনসেটের ঘর নির্মান করে। এ বিষয় থানায় জানালে এস আই আবদুল্লাহ আল নোমা ঘটনাস্থল তদন্ত করে সত্যতা পায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় এ ঘটনায় বড় ধরনের র্দূঘটনার আশংকা করছেন এলাকা বাসি। জমির মালিক ও আত্নীয় স্বজনদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী, হত্যা করে গুমকরার হুমকি দেয়ার মিজানুর রহমান আইনের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নং-৩৮৪,তারিখ- ৮/০৪/২২ ইং। বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার মরহুম আলী আকবর বড় ভাইর স্ত্রী ও তার বোনদের জমি থেকে অবৈধ ঘর অপসারনসহ ভুমি দস্যুদের বিচার দাবী করেছেন এলাকা বাসি।