বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই আন্দোলনের বীর সৈনিকদের, আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, যে সমস্ত তরুণ তরুণী ছাত্রসমাজ, বুক পেতে জালিমের বুলেট বুকে রূপে নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছিল ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’-তাদের ক্ষোভটা ছিল সাড়ে ১৫টা বছর।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা'র আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্যাসিস সরকার, জাতির ঘাড়ে, চেপে বসে, জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশটাকে শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। ওরা মাঝে মাঝে বলতো- এই দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমি চিৎকার দিয়ে বলতাম হা শান্তি তোমার স্থাপন করেছ কবরস্থানে শান্তি, কারণ কবরস্থানে কোন মানুষ জীবিত থাকে না, এইজন্যে তাদের হাসি কান্না শোনা যায় না। বাংলাদেশ থেকে তোমরা সমস্ত অধিকার হরণ করে, মানুষের সমস্ত অধিকার হত্যা করে, এরকমই তোমরা গুরুস্তানে পরিণত করেছ, এইজন্য হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না।
আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করেছিল, তার জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার আগে, দুই বছর আগে, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্পষ্ট দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে আদম সন্তানদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তাদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নাচানাচি ও ফালাফালি করেছিল। তখন তারা জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিল আমরা ক্ষমতায় আসলে খুনের রাজনীতি করবো।
তিনি বলেন, আমরা সেদিন আমাদের বুকের কান্না বাংলাদেশের জনগণের কাছে হয়ত বা পৌঁছাতে পারিনি। বহু কায়দা করে, পয়েন্ট মুখপেক একটি জঘন্য সরকারের হাত ধরে পিছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় বসে, সেই খুনের নেশা বাস্তবায়নের কর্মসূচি তারা হাতে নেয়।
মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী'র আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলী, সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মোঃ ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান প্রমুখ।