গত সাড়ে চার বছর ধরে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ৬ ফুট উচ্চতা ও ১৩ ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির ষাঁড়কে লালন পালন করছেন খামারি আমানুল্লাহ আমান। এবার কোরবানি উপলক্ষ্যে ষাঁড়টিকে বাজারে তুলবে। আদর করে নাম রেখেছেন উত্তর বঙ্গের সম্রাট। তিনি আশা করছেন জীবিত অবস্থায় এর ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজি এবং জবাই করার পর এটি থেকে প্রায় ২৮-৩০ মণ মাংস পাওয়া যাবে। ষাঁড়টির দাম রেখেছেন ১৮ লাখ টাকা।
খামারি আমানুল্লাহ আমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘী গ্রামে।
সম্রাট দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা আসাদুল হাবিব বলেন, আমাদের সম্রাট আমি ছোট থেকে দেখাশুনা করছি। এর বয়স সাড়ে চার বছর। প্রাকৃতিক খাবার ঘাস, লতাপাতা, খড়, খৈল, ভূসি, চক্কর ইত্যাদি খাইয়ে বড় করা হয়েছে। প্রতিদিন ষাঁড়টির প্রায় ৭০০/৮০০ টাকার খাবার লাগে। ব্রাহামা জাতের শান্ত প্রকৃতির হলেও ব্যায়াম করার জন্য খামারের বাইরে আনতে হলে ৫/৬ জনের লোকের প্রয়োজন হয়।
৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, এতদিনে এত বড় গরু আমি কখনও দেখিনি। আমার জানামতে উত্তর বঙ্গের মধ্যে এ গরুটি সবথেকে বড়। এক নজরে দেখতে প্রতিদিন প্রায় জেলা ও জেলার বাইরের লোক দেখতে আসে।
খামারি আমানুল্লাহ আমান বলেন, গেল বছরের করোনার কারণে ষাঁড়টিকে বাজারে তুলতে পারিনি। ফিতা দিয়ে মেপে দেখা গেছে ষাঁড়টি উচ্চতা ৬ ফুট এবং লম্বায় ১৩ ফুট রয়েছে। জীবিত অবস্থায় এর ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজি এবং জবাই করার পর এটি থেকে প্রায় ২৮-৩০ মণ মাংস পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে ষাড়টির দাম রাখা হয়েছে ১৮ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমার খামারে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু আছে। গরু দেখাশোনা করার জন্য আমার বাবা ও আমার ভাতিজাগুলো সহযোগিতা করে। প্রাকৃতিক খাবারের জন্য কাঁচা ঘাসের আবাদ করেছি।