ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করেছি সেটি ধরে রাখতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। যদি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকে তবে অন্যসব সমস্যাও সমাধান করা যাবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যান ইকোনমি অন দ্য মুভ: বাংলাদেশ অ্যাট ফিফটি’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে অসাধারণ কাজ করেছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭০ এর দশকে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় ১০০ ডলার। এখন আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার ৯০০ ডলার। স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশের উন্নয়নের বর্তমান এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে বিভিন্ন দেশের উন্নতির কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, সিঙ্গাপুরে গত ৫২ বছরে স্থিতিশীল সরকার থাকার ফলে তারা অবিস্মরণীয় উন্নতি করতে পেরেছে। রুয়ান্ডায় ১৯৯৬ সাল থেকে স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশটি অসাধারণ উন্নতি করে যাচ্ছে। যদি আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলি- তারাও ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থিতিশীল সরকার থাকার কারণেই ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে এবং বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
ইরাক, ইরান ও লিবিয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশগুলো এক সময় অনেক ভালো অবস্থানে থাকলেও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় তাদের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কাজেই আমরা যদি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের উন্নয়নের ধারাও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, এ বইটি কিছু উজ্জ্বল মনের মহান চিন্তার সংকলন। এটি একটি অসাধারণ কাজ, যা বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জনের মাইলফলক ধরে রাখবে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তারা বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তার ৫০ বছরের যাত্রায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে, যা ‘অ্যান ইকোনমি অন দ্য মুভ বাংলাদেশ অ্যাট ফিফটি’ বইতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
দেশের প্রথিতযশা ১২ জন অর্থনীতিবিদের নিবন্ধ নিয়ে ‘অ্যান ইকোনমি অন দ্য মুভ, বাংলাদেশ অ্যাট ফিফটি’ নামে গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে নিমফিয়া পাবলিকেশন।
বইটির লেখকরা হলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, মোস্তফা কে মুজেরী, নেয়াজ মুজেরী, সেলিম রায়হান, জায়েদী সাত্তার, আবদুর রাজ্জাক, বজলুল এইচ খোন্দকার, আহসান এইচ মনসুর, এম রোকনুজ্জামান, সারোয়ার জাহান, শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও সাদিক আহমেদ।
বইটি সম্পাদনা করেছেন- সাদিক আহমেদ, ফকরুল আলম ও জিয়াউল করিম।