দীর্ঘ ৮ বছর একই কর্মস্থলে চাকুরী করে এখনো অব্দি বহাল তবিয়ত রয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরীর হাফিজুর রহমান। নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠলেও নিজেকে একজন স্বনামধন্য সাংসদের বড় ভাই পরিচয়সহ একাধিক তদবির মিশন খাটিয়ে একই কর্মস্থলে থেকে গেছেন বছরের পর বছর।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ আগষ্ট শার্শা উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। কয়েক বছর চাকুরী করার পর ও স্থানীয় সাংসদের মন জয় করার সুবাদে প্রিয় নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে একজন সাংসদের বড় ভাই পরিচয় দিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই কর্মস্থলে রয়ে যান বছরের পর বছর।
স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করে একই কর্মস্থলে কোন ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘ ৮ বছর চাকুরী করছেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা। ক্ষমতা অপব্যবহার করে শার্শা উপজেলার ৮০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ বাণিজ্য করার গুঞ্জন উঠেছে। যা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।
একই কর্মস্থলে ৮ বছর ২ মাস চাকুরী করার সুবাদে স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন হয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গত ৮ বছরে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা, পিওন, আয়া, নাইট গার্ড প্রত্যেকের বেতন এমপিও করার কথা বলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা হারে উৎকোচ আদায় করেছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
অবিলম্বে উক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বদলী দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহা পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ছাড়া একই স্থলে আমি দীর্ঘদিন থাকতে চাইনা। অনেক যোগাযোগ করেও অজ্ঞাত কারণে আমার বদলি হয়নি। তবে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বদলীর।