ঢাকা, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ ১৪৩১

এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

বায়ান্ন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:০০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগ অনুসন্ধানে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এরই মধ্যে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়াসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৯ আগস্ট গুম-খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’, ফোনকলে আড়িপাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড ও ফাঁস করা সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত জিয়াউল আহসান, তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, জিয়াউল আহসান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হন। সেই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। আর ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। ২০১৭ সালে এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।

বায়ান্ন/পিএইচ