সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস ও ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন ও বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠক করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক তজিমুল ইসলাম খান। শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোঃ তজিমুল ইসলাম খান ও যশোর জেলা সিভিল সার্জন আবু শাহীনসহ সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস ও নোম্যান্সল্যান্ড পরিদর্শন শেষে স্থল বন্দর বেনাপোল এর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ নিয়ে বৈঠক করেন।
যশোর জেলা প্রশাসক বলেন, বেনাপোল বন্দর রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রবেশদ্বার। এই পথ দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে এবং ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা প্রবেশ করে। সকলে যেন মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে। বন্দর এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী বেসরকারী সকল কর্মকর্তাদের এসব দেখার জন্য তিনি দিকনির্দশনা দেন।
যশোরের সিভিল সার্জন আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে গত মঙ্গলবার ২ জন করোনা পজিটিভ যাত্রী দেশে ফেরত এসেছে এটা আমাদের কাম্য নয়। যেখানে করোনা পজিটিভ ধরা পড়বে সেখানে আইসোলেশনে থাকার কথা। নইলে এরা জীবানু ছড়াতে ছাড়তে আসবে। ভারতীয় ট্রাক চালক এবং পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশে প্রবেশ করে সে ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোন প্রকারে ওমিক্রন এর মত সংক্রমণ যাতে দেশে পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যেমে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে গত বছরের মত বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভারতের ট্রাক চালকরা যাতে অবাধে বাজারে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, নাভারণ সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল বন্দর উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার, শার্শা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমীন মিথি, বেনাপোল কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার আব্দুল কাইয়ুম, নাভারন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ইউসুফ আলী, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান, ইমিগ্রেশন ওসি মোঃ রাজু বেনাপোল বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার আশরাফ হোসেন।