উড্ডয়নকালে বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান এই বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
তিনি বলেন, চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। চাকা মেরামত করে ওই উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে সরানো হয়। এরপর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এরআগে বেলা ১ টার দিকে উড্ডয়ন সময়ের বিকট শব্দে বিমানের একটি বোয়িং উড়োজাহাজের চাকা পাংচার হয়ে যায়। এসময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে আতংকিত হয়ে পড়েন উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী। তবে এতে যাত্রীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ১২ টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিলো। উড়োজাহাজটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। এসময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয় জানিয়ে এই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই আতংকিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।
মোস্তাক হায়াত বলেন, ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা মন্থর করেন। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন ফের ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।