র্যাব-১১, সিসিপি-৩ এর অভিযানে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের আলোচিত -প্রতিবন্ধি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। নোয়াখালীর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১০ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর ১টায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌরাস্তা, বাস স্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার মামলা নং- ০২, ৩রা এপ্রিলে দায়ের কৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) মামলার একমাত্র আসামী ধর্ষক মনির আহম্মদ ভূঁইয়া (৫৫) কে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ধর্ষক মনির আহম্মদ ভূঁইয়া (৫৫) লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার বামনী ইউপির বামনী গ্রামের মৃত কালু ভূঁইয়ার ছেলে।
মামলার বাদী মোঃ আবুল কাশেম (৪১) ও গ্রেফতারকৃত আসামী একই এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বয়স ১৫ বছর । আবুল কাশেম এর বড় মেয়ে। সে একজন বাক- প্রতিবন্ধি।
এজাহার থেকে জানা যায় বাক- প্রতিবন্ধী কিশোরী বসত ঘরে একা থাকার সুযোগে ধর্ষণে অভিযুক্ত মনির হোসেন সকলের অগোচরে আবুল কাশেমের বসত ঘরে প্রবেশ করে বাক- প্রতিবন্ধি শিশুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (ভিকটিম'কে) উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, (০৩) এপ্রিল ৭নং বামনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভূইয়া বাড়ির মৃত কালু ভূঁইয়ার ছেলে মনির আহম্মদ ভূইয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।কিশোরীর পিতা আবুল কাশেম বাদী হয়ে (০১)এক জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
কিশোরীর পিতা আবুল কাশেম বলেন আমি পেশায় একজন অটো রিক্সা চালক ও গরিব মানুষ ।আমি এর সর্বোচ্ছ বিচার দাবী করছি ।
কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান উপ-পরিচালক ,র্যাব-১১ জানান ,তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মনির আহম্মদ ভূঁইয়া (৫৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ধর্ষণকারী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব
-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।