মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুশাইনগর বাজারে ঈদের দিন বিকালে নজাক আলী (৪৫) নামক ব্যবসায়ীকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। ঘটনার ১০ দিন পর রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ ইং, বিকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
মৃতের বড় ভাই হাজী নিয়ামত আলী বলেন, ঈদের দিন বিকালে নজাক মিয়া দোকানে বসা ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার মৃত জইর আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া, ফয়সল মিয়া ও মান্না মিয়া দোকানে এসে কোরবানির মাংশকে ইস্যু করে নজাক আলীর সাথে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা নজাককে মারধর করতে থাকেন। ভাইয়ের চিৎকার শুনে মুফিজ আলী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে পারভেজ গংরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন আহতবস্থায় দুই ভাইয়কে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু নজাক আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুলাউড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নজাক আলীর বড় ভাই নিয়ামত আলী কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক জানান, হামলার পর নিয়ামত আলী বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের জিলান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার, ৯ জুলাই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিলান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দতরমুড়ি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে মাহি , ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খান ও গিয়াসনগর গ্রামের নেওয়ার আলীর ছেলে হেলাল আহমদকে আটক করে। ওসি আব্দুছ ছালেক বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে জানান তিনি।