ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌমুহনীর হাওলাদার বাড়ির মৃত আবদুল বারেকের ছেলে আবু মুসা। ৮ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। এক সময় বাড়ির লোকজনের সাহায্য নিয়ে লেখা-পড়া করে পেটে ভাতে চলতেন।ওই বাড়ির মৃত মুজাফর মাষ্টারের ছেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক তাহের হাওলাদার বিএনপি সরকারের সময়ে, ভোলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা প্রকল্পে কেন্দ্র পরিদর্শক পদে চাকরি দেন। তিনি চাকরিতে সদরে যোগদানের পরে নিজ ইউনিয়ন শিবপুরে নিজের স্ত্রী, ২ শ্যালকসহ বিভিন্ন আত্নীয়দের নামে অনেক কেন্দ্র নিয়ে তাদের বেতন-ভাতা নিজে উত্তোলন, কেন্দ্রের উপকরন বিক্রি, বিভিন্ন কেন্দ্রর শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহন ও মাদক বিক্রি করে এখন কোটি টাকা ও অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। তৈরী করেছেন আলিশান বাড়ি, নামে বেনামে শিবপুর, রতনপুর, পাঙ্গাশিয়া, চরফ্যাশন, মানিকা কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন। আবার প্রতারনা করে ১ জনের কাছ থেকে জমি কিনে ৫ জনের জমি দখল করেছেন। এ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। আবুল বশার নামের এক চাচাতো ভাইর কাছ থেকে শিবপুর মৌজায় ৭টি খতিয়ানে শতাধিক দাগে কোটি টাকা দিয়ে ১৭ শতাংশ জমি কিনে জোর করে ৫ বোনের জমিসহ ৫১ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে মার্কেট করার চেষ্টা করছেন। চাকবি জীবনে ভোলা সদর, মনপুরা, বোরহান উদ্দিন ও দৌলতখানে চাকরি করলেও প্রতিদিন তিনি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাননা, গত ৪ মাসে তাকে ১ দিনের জন্যও তাকে কোন কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। তিনি মাসে ১ বার চাকরি স্থলে যান ঘুষের টাকার জন্য। বাকী সময় দিনের বেলায় তিনি ভোলার সাবেক উপ-পরিচালক আবদুল কুদ্দুস ও বর্তমান উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবিরের বাসায় কাজ করেন। বর্তমান উপ-পরিচালকের বাসায় তার চাচাতো ভাই-বোনদের কবুতরের বাচ্চা, গাছের ডাব নারিকেল, কাটাল, কাচাআম, কলা, পুকুরের মাছ চুরি করে উপটোকন দেন। আর ওই সব উপ-পরিচালক ও তার স্ত্রীর খুব পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে সপরিবারে উপ-পরিচালক আবু মুসার বাড়িতে বেড়াতেও যান। ওই সুবাদে আবু মুসা তার ইউনিয়নে নামে-বেনামে স্ত্রী, ২ শ্যালকসহ বিভিন্ন আত্নীয়দের নামে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কেন্দ্র নিয়ে নিজে বেতন-ভাতা ভোগ করেন। দৌলতখানের প্রায় ১২০টি শিশু ও গনশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করে ২ জনে ভাগ করে নেন বলে জানান ভুক্তভুগীরা। কোন শিক্ষক ঘুষ দিতে অপারগতা জানালে তাকে চাকরি হারাতে হয়। ২১-২২ অর্থ বছরে ঘুষ না দেয়ায় অনেক শিক্ষক বাদ দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির ও কেন্দ্র পরিদর্শক আবু মুসার বিরুদ্ধে ভুক্ত ভুগীরা মানববন্দন করে মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। রাতের বেলায় আবু মুসা শিবপুর ৬নং ওয়ার্ডের মাজ কান্দি বাজারে মাদক ব্যবসা ও সেবন করেন বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সন্ধ্যার পরে মাদক সেবীরা তার কাছ থেকে মাদক কিনার জন্য লাইন ধরেন। তার সহযোগী রয়েছেন বোরাক - রহমান, আল আমিন, মফিজসহ অনেকে। মুসার কাছে সন্ধ্যা হলে এত লোক আসে কেন-এলাকার সহজ-সরল লোকে জিজ্ঞাসা করলে অনেকে উত্তর দেয় মুসা ডাক্তার হয়েছে, তার কাছে তাই ঔষধ নিতে এত লোক আসে। এখন তিনি মুসা ডাক্তার নামে পরিচিতি লাভ করছেন। এবিষয়ে আবু মুসার সাথে কথা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বারে বারে এ প্রতিনিধিকে একটি প্যাকেট দেয়ার চেষ্টা করেন।
উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবিরের সাথে মুটো ফোনে কেন্দ্র পরিদর্শক আবু মুসা কেন্দ্রে অনুপস্থিতের এবং অফিস না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনে কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে এ প্রতিনিধিকে অফিস অথবা কালি বাড়ি রোর্ডের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।