ঢাকা, বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০শে মাঘ ১৪৩১

খালেদার মুক্তির দাবিতে সিলেটে বিএনপির সমাবেশ

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১২ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:২৩:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে বুধবার সিলেটে সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর বিএনপি

বুধবার শহরতলির টুকেরবাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা, গণতন্ত্রের কান্ডারি বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝেন। তিনি আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে যতটা নির্বাচন করেছেন সবগুলো নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। আর খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। আর পরাজিত হওয়ার পরে ঢাকায় আর নির্বাচন করেননি।

 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি কেয়াটেকার সরকার দিয়েছিলেন এবং এর পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। একেই বলে গণতন্ত্র। তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

 

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টাইয়া ফেলছে। আজকে ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নাই। তবে বাকীরা গিয়ে কী করেছে। মূলত: এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।

 

প্রধান অতিথি বলেন, খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলেন এই জন্যই তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজপথকে প্রকম্পিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গুলি খেতে হবে। রাজপথ রঞ্জিত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্তির আন্দোলনে যদি আমার দেশের মানুষের গুলি আমার শরীরে লাগে তবে আমি গর্বিত শহিদ। প্রতীকী নয়, আসল কাফনের কাপড় পরে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

 

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

 

এদিকে, বিএনপির পূর্ব ঘোষিত এই সমাবেশে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বিকাল ৩টার দিকে কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় টুকেরবাজারের মাঠ।

 

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সবধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।