শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশ পেয়েই ঢাকা থেকে সিলেটে ছুটে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম নাদেল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ক্যাম্পাসে যান।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলের সাথে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সিসিকের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে কিছুটা সময় দেওয়ার আহবান জানান তারা। একইসাথে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমাধানে পৌঁছা যায়, সেই পথ খোলা রাখতে আন্দোলনরতদের প্রতি আহবান জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আমি আজকে ঢাকা থেকে এসেছি। আমাদের দল ও সরকার আপনাদের পাশে আছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এই সংকট থেকে বের হয়ে আসার একটি পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের দাবির প্রতি একমত। আপনাদের প্রাথমিক দাবিগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে চেষ্টা করবো। তবে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসে সে চেষ্টা চালাবো।’
নাদেল বলেন, ‘আমি শুধু আজকে এটুকু বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশে আছি, পাশে থাকব। আপনাদের আন্দোলনে যাতে কোনো সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী ঢুকে না পড়ে সে ব্যাপারে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।’
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ক্যাম্পাস থেকে এরই মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশসহ সাঁজোয়াযান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আপনারা যাতে সন্তোষজনক সমাধান পান আমরা সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা অবরুদ্ধ রাখার জন্য নয়। এখানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তবে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় আশ্বস্ত হননি। তারা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
ওই সময় সাব্বির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। তিনি আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। তার ক্যাম্পাসে থাকার কোনো অধিকার নাই। উনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর বেলা পৌনে ২টার দিকে উপাচার্যর বাসভবনে যান আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁর সাথে কথা বলে তাঁরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।