গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকায় ঘরের দরজা আটকানো অবস্থায় তাসলিমা আক্তার (৩০) নামে এক পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর পর থেকে স্বামী আল আমিন (৩২) পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (চন্নাপাড়া) এলাকার রমিজ উদ্দিনের ভাড়া বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পোশাক কর্মী তাসলিমা নেত্রকোনা সদর উপজেলার পাটলি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ব্লু-ফ্যাশন পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার স্বামী আল আমিন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিরপুর গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে।
কালয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাসলিমার স্বামী বাড়ির মালিকের ছেলে মেহেদী হাসান রিমনকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্ত্রীর খোঁজ নেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। মেহেদী তার মাকে বিষয়টি জানান। মেহেদির মা রাতেই বাইরে থেকে আটকানো দরজা খুললে ঘরের খাটের ওপর লাশ দেখতে পান। পরে তিনি খবর দিলে সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, তাসলিমা আক্তার ও আল আমিন প্রায় ছয় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। সে তার নানা-নানির কাছে থাকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আল আমিন তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে বাইরে থেকে দরজা আটকে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচাতো ভাই লাদেন মিয়া ফোনে জানান, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। গত ৪-৫ দিন আগে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়েছিল। পরে নিহতের ফুফাতো ভাই রাসেল মীমাংসা করে দিয়ে আসে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম জানান, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে।