নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি দুর্গম চরে মা ও মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হাসান (৪৫) ও হারুন (৩২)।
নির্যাতনের শিকার নারী অভিযোগ করেন, তার স্বামী কাভার্ড ভ্যান চালক। বাড়িতে তিনি তার মেয়ে (১৭), এক দেবরসহ (২১) থাকেন। তাদের বাড়ির আশপাশে তেমন কারও বাড়িঘর নেই। গত রোববার রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ছয় যুবক তার বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে রাখে। এরপর তার মেয়ে ও তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুরপাড়ে। আর তিনজন তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পুকুরপাড়ে ও মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে রাত তিনটা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকাপয়সাসহ জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, তাকে ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছয়জনের সবাই চর এলাহী বিএনপির এক সাবেক নেতার (যিনি ৫ আগস্টের পর খুন হয়েছেন) অনুসারী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা সবাই এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চরবালুয়া থানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে হাসান ও হারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, চর এলাহী ইউনিয়নে একটি ধর্ষণের ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কে বা কারা ওই ঘটনায় জড়িত, সেটি জানেন না। এই ঘটনায় যারাই জড়িত, পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে