ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চার কারণে সিলেট ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মনীষা বহিষ্কার

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ নভেম্বর ২০২১ ০৩:১৯:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ, উপদলীয় তৎপরতা, ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্য প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করার কারণে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ থেকে জেলা সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মনীষা ওয়াহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জেলা সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সভা থেকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৩৬ তম জেলা সম্মেলনের জন্য গঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের ৬টি পূণাঙ্গ উপপরিষদ গঠন করা হয়।

 

শনিবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি সরোজ কান্তি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নাবিল এইচের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মনীষা ওয়াহিদ জেলা সংসদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে একের পর এক কাজে লিপ্ত ছিলেন। তিনি সংগঠনের মধ্যে উপদলীয় তৎপরতা ও ছাত্র ইউনিয়েন ঐক্য বিনষ্ট কাজে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ ছাত্র ইউনিয়নের নামে একটি ভূয়া কমিটি করে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ সব কারণে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ৫৬ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক তাকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের নামে ভূয়া কমিটির কোনো কার্যকলাপের দায়ভার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার নয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলা সভা থেকে ৩৬তম জেলা সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ ৬টি উপপরিষদে গঠন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত দুই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার ৩৬তম জেলা সম্মেলনের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান লাকি রানী দাস ও আহ্বায়ক রনি সেনাপতি, সাংগঠনিক উপপরিষদের আহ্বায়ক মোহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, সদস্য সচিব পংকজ চক্রবর্তী জয়। এই উপপরিষদের সদস্যরা হলেন, দীপংকর সরকার, অটল ঋষি, নিটু রঞ্জন তালুকদার, মিসবাউর রহমান, আরমান মুন্না, আমিনুল ইসলাম।

 

অর্থ উপপরিষদের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান প্রান্তিক ও সদস্য সচিব সজল মিয়া। উপপরিষদের সদস্যরা হলেন, মিজু আহমদ, প্রদ্যুত তালুকদার, রবিন দে, ইশান রহমান, দুর্জয় দেব জয়, মাহবুব হোসেন।

 

দপ্তর উপপরিষদের আহ্বায়ক হাছান বক্ত চৌধুরী কাওছার ও সদস্য সচিব সৈকত ভৌমিক। সদস্যরা হলেন, সুমন দাস, নরোত্তম দাস, রাজীব তালুকদার, আহমেদ কাওসার, বিরাজময় ইমন, রাজ দেবনাথ।

 

সাংস্কৃতিক উপপরিষদের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ ও সদস্য সচিব অলক দাস। এই উপপরিষদের সদস্য হলেন, তন্ময় পাল, সন্দীপ কুমার দাস, প্রদ্যুত দাস, মণীষা দাস তালুকদার, স্বর্ণা গোয়ালা, জয়া গোয়ালা ও কাকলী রানী দাস।

 

আপ্যায়ন উপপরিষদের আহ্বায়ক সুজন দাস ও সদস্য সচিব শ্রাবণ দাস। সদস্য হলেন, বিশাল দেব, রুদ্র চক্রবর্তী, সুমতী রায়, জীবন দাস, সাঈফ আহমদ।

 

র‌্যালী ও সাজসজ্জা উপপরিষদের আহ্বায়ক সন্দীপ দাস ও সদস্য সচিব ইশতিয়াক হিমেল। এই উপপরিষদের সদস্যরা হলেন, ধ্রুব দাস, আমিনা বেগম, তাহমিনা বেগম, রুহি আরাফাত, জাফর আহমেদ, নিশাত নিশি ও অমিত বীরপতি।