বাংলাদেশকে প্রাণিসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সরকার ‘ইন্সটিটিউট অব লাইভ স্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ (আইএলএসটি) প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে এরকম প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে মাত্র পাঁচটি। তারমধ্যে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধায় একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পরও শিক্ষকসহ জনবল সংকটে ধুঁকছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।
আইএলএসটি সূত্রে জানা গেছে, শহরের বোর্ড বাজার এলাকায় আধুনিক অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, ল্যাব, আসবাবপত্র সবই রয়েছে। কিন্তু নেই শুধু প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও জনবল। এখানে মোট পদ আছে ৮০টি। যার বিপরীতে ৫১টি পদই রয়েছে শূন্য। অধ্যক্ষ পদ ফাঁকা প্রায় সাত মাস ধরে। এছাড়া ৩৬ শিক্ষকের (ইন্সট্রাক্টর) পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৯ জন শিক্ষক। কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এখানে চার বৎসর মেয়াদী ‘ডিপ্লোমা ইন লাইভ স্টক’ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বোর্ড প্রতিবছর অনলাইনে আবেদন নিয়ে গাইবান্ধার আইএলএসটিতে এসএসসি পাশ শিক্ষার্থীদের ৫০টি আসনে ভর্তি করে থাকে। সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হয়। কিন্তু শিক্ষক স্বল্পতায় এখানে পাশের হার কম হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এখন পর্যন্ত প্রথম ব্যাচের কোর্স শেষ হয়েছে। যেখানে পাশের হার ৫০%।
এখানে প্রাণিসম্পদ বিভাগে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (লাইভ স্টক) ৮টি পদের বিপরীতে ৬ জন কর্মরত থাকলেও ইন্সট্রাক্টরের ১২টি পদের বিপরীতে ১১টি পদই শূন্য। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের ৬ টি পদের সবই ফাঁকা। ডেমনস্ট্রেটরের পদ ৫টি হলেও এ পদে কেউ কর্মরত নেই। বিজ্ঞান বিভাগে ইন্সট্রাক্টর রয়েছে ২জন, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ১ এবং ডেমনস্ট্রেটরের ১টি করে পদ থাকলেও সব পদই শূন্য পড়ে আছে। মানবিক বিভাগেও ২টি ইন্সট্রাক্টর ও ডেমনস্ট্রেটরের পদ ফাঁকা। একইভাবে এ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসার, ভেটেরিনারি সার্জন, কম্পাউন্ডার ও ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট পদও রয়েছে শূন্য। এছাড়া প্রশাসন বিভাগে ২০ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৮ জন।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ পদের দায়িত্বে থাকা চীফ ইন্সট্রাক্টর ডা. মো. আব্দুল হাই বলেন, বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষক দ্বারা আইএলএসটি’র শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। শিক্ষকসহ সকল শূন্য পদে লোক চেয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে পত্র দেয়া হয়েছে।