ঢাকা, শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ই মাঘ ১৪৩১

জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

আকিব সুলতান অর্নব, জাবি | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:০৬:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়ায় রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১২টি বাস আটক করে ক্ষতিপূরণ আদায় করেন শাখা ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেটসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটক করা হয়। পরবর্তীতে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পর রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার মধ্যস্থতায় বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কত টাকা আদায় করা হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, বলীভদ্র এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে প্রাইভেট কারের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের জন্য বিশ মাইল গেটে রাজধানী পরিবহনের ১২টি বাস আটক করা হয়। একপর্যায়ে কিছু নেতা-কর্মী দুটি বাস রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত করেন। তাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়।

আটক বাসগুলোর একটির চালক জাহিদ হাসান বলেন, ‘চার-পাঁচজন এসে গাড়ি থামিয়ে বাসের চাবি নিয়ে যায়। এ সময় গাড়িগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখতে বলে। শুনেছি যে গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে, তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

বাস আটকের বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বলেন, ‘রাজধানী পরিবহনের একটি বাস আমাদের এক বড় ভাইয়ের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আমরা দুটি বাস আটকাই। কিন্তু বাসের কর্মচারীরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে আরও কয়েকটি বাস আটক করা হয়। তবে যানজট সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাস আটকে রাখা হয়নি।’

সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় দফায় আড়াআড়িভাবে রাখা বাস আটকাইনি। এটা অন্য কারও কাজ হতে পারে। বরং বাস দুটি সরানোর জন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছি। অভিযুক্ত বাসচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর সমঝোতার ভিত্তিতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে তিনি তা জানাননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে