ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জেলা যুবদলের সভাপতি জাকিরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে

মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩১:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
স্বৈরাচার জালিম আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে আসা যুবদলের সিলেট বিভাগীয় সহ সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে দলের সুবিধাবাদী শ্রেণির নেতাদের একটি চক্র।
মৌলভীবাজারে স্বৈরাচার জালিম আওয়ামী লীগের সরকারের সুবিধাভোগী বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়। এমনকি হুমকি ও চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় জিডি করিয়েছে ওই চক্রটি। ওই চক্রটির নেপথ্যে রয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা। এই প্রভাবশালী নেতা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত, সরকারের সময় সিলেট ও মৌলভীবাজারে বিশাল ক্যাডার বাহিনী দিয়ে পুরো এলাকার গড ফাদার হয়ে ওঠেন। সেই সময় নিজ দলের সিনিয়র নেতারাও ভয় পেতো ওই প্রভাবশালী নেতার বাহিনীকে। এ ব্যাপারে ওই প্রভাবশালী নেতা সেই সময় নিজেই বলেন, এলাকার লোকজন তাকে যুবরাজ বা সাদ্দাম হোসেন বলে ডাকে।
মৌলভীবাজার বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ই আগস্ট প্রভাবশালী ওই নেতার বাসভবনে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ওই নেতার একটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে জাকির হোসেন উজ্জলের ওপর নাখোশ হন তিনি। এরপর থেকে জাকিরকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্নভাবে নানা ফাঁদ পাতা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার জালিম আওয়ামী লীগ সরকারের ঠিকাদারী কাজের সুবিধাভোগী শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বাদশা মিয়া (কাজল)কে দিয়ে তেল-গ্যাস কাজ বাগিয়ে নেয়ার আভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি করান ওই নেতা। একই অভিযোগ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠান তিনি।
বাদশা মিয়া জিডিতে যে প্রজেক্টের কথা বলেছিলেন সেই মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বলেন, জাকির হোসেন উজ্জ্বল আমাকে সরাসরি ফোন করেননি। তবে উনার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন কাজটি ওনাকে দেয়ার জন্য।
এদিকে জাকিরের বিরুদ্ধে কাজী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কমলগঞ্জের বিএনপি নেতা হারুন মিয়া ও তার সহযোগী কুতুব মিয়াকে গালি-গালাজ ও হুমকি ধমকির যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটিও মিথ্যা বানোয়াট।
কাজী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ হারুন উর রশিদ বিএনপি’র মহাসচিব এর বরাবরে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে এর জবাব দেন। এছাড়াও বাদশা মিয়া কাজলের দায়ের করা অভিযোগটি আমলে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, যুবদলের সিলেট বিভাগীয় সহ সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও হুমকি ধমকি প্রদান করেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এদিকে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে হয়ত কেউ তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে। সে দলের একজন ত্যাগী নেতা যে বিরোধী দলের আমলে অনেক মামলা ও হামলায় জর্জরিত হয়েছে।
সংগ্রামী সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল। দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর বাশার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশে যুবদলের সিলেট বিভাগীয় সহ সভাপতি ও জেলা যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন উজ্জ্বল বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে হেয় করার জন্য ও আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এসব করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে জেলা বিএনপির সভাপতির সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর থেকে একটি চক্র দলের ভেতরে আমাকে কালার করার জন্য এসব করাচ্ছে। এছাড়া কোম্পানির ম্যানেজার যিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি পরে তা প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান।