ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ফার্ণিচার ও কসমেটিক মেলা, ভিড় করছে বিভিন্ন বয়সী তরুণ-তরুণী। গত ১ লা নভেম্বর শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে শহরের মডার্ন মোড়ের পুরাতন ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় মাসব্যাপী ফার্ণিচার ও কসমেটিক মেলার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। মেলার মালিক রাকিবুল বাশার রোকন জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে এই ঐতিহ্যবাহী ফার্ণিচার ও কসমেটিক মেলা ঝিনাইদহে চলে আসছে। এবারই প্রথম নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেষে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাইতো মানুষের একটু বিনোদন দেওয়ার জন্যই প্রতিবছর আমি এ মেলার আয়োজন করে থাকি। এ মেলা চলবে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় স্টল বসেছে বিভিন্ন প্রকার ফার্ণিচার ও কসমেটিক এর দোকান। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে মেলায় কেনা-বেচা। আর এ মেলায় নারীদের সাজগোছ ও ঘর গোছানো সামগ্রী বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও সকলের পচ্ছন্দের প্রিয় সামগ্রী কিনতে ও একটু বিনোদন নিতে মেলাতে ছুটে আসেন নারী-পুরুষেরা। এ মেলাতে সববয়সী মানুষকে আসার জন্য তিনি আহবান জানান। এ মেলায় প্রতিনিয়ত ভিড় করছে বিভিন্ন বয়সী তরুণ-তরুণী ও শিশু। মেলায় স্থান পেয়েছে ফার্ণিচার খাট, চৌঁকি, পালঙ্গ, ড্রেসিন টেবিল, আলমারীসহ বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, কসমেটিক, লেদার , কোট, শাট, প্যান্ট, ঘড়ি, চশমা, বাচ্চাদের খেলনা, কোকারিজ, থ্রিপিস ,শাড়ী কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী দোকান। এছাড়াও মেলার খাবারের পসড়া স্থান পেয়েছে। মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন একটা লোকের দেখা না মিললেও বিকাল থেকে আস্তে আস্তে মেলায় লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে সন্ধ্যার পর মেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে সব থেকে বেশি। অপরদিকে মেলায় বিক্রেতারা বলছেন মেলায় লোকসমাগম থাকলেও কেনা-বেচা তেমন একটা নেই। বিক্রেতারা আরো বলেন, সবেমাত্র মেলা শুরু হয়েছে তাই কেনা-বেচা একটু কম। তবে ফার্ণিচার ও কসমেটিক মেলায় শিশু, তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী দেখছে আবার দাম করছে কেউ কিনছে আবার কেউ চলে যাচ্ছে পরে কিনবে বলে। তবে আমরা আশাবাদী সপ্তাহখানেক পরে বেচাবিক্রি বৃদ্ধি পাবে। মেলায় ঘুরতে আসা মহিলা কলেজের ছাত্রী লাবনী আক্তার নামের এক তরুনীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আমি জানতে পারলা এই প্রথম মডার্ন মোড় এলাকায় মেলা হচ্ছে তাই মেলার কথা শুনে আমরা ঘুরতে এসেছি। আজ ঘুরে ঘুরে জিনিসপাতি সব দেখে যাচ্ছি সময় করে একদিন এসে পচ্ছন্দের জিনিসপাতি কিনব বলে আশা করছি। তবে এখানে মেলা হাওয়াই আমরা খুশি এবং আনন্দিত আশাকরি প্রতিবছর এখানে মেলা বসবে। তাহলে আমরা কিছুটা হলেও আনন্দ উপভোগ করতে পারবো মেলায় ঘুরতে পারবো জিনিসপাতি কিনতে পারবো এটাই আশা ঝিনাইদহের রাজনৈতিক সামাজিক ও জেলা প্রশাসকের কাছে।