ঝিনাইদহ পৌর এলাকার শিকারপুর গ্রামে সাফওয়ান নামে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সন্দেহ। এ ঘটনায় একই গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের ছেলে সোহান নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে।
শিকারপুর গ্রামের ফাতেমা-মিজান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র শিশু সাফওয়ান। সামওয়ান শিকার পুর গ্রামের জাম্মিম হোসেন সবুজ মালিথার ছেলে।
শিশুটির মা সুমাইয়া খাতুন জানান, দুপুরের পর থেকে সাফওয়ানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে দরিগোবিন্দপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সাফওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সুমাইয়া খাতুন অভিযোগ করেন সোহানই তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
এদিকে সাফওয়ানের পিতা জাম্মিম হোসেন সবুজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহান তার ছেলেকে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখাতো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সাফওয়ান তাকে এ কথা বলতো আর ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যেতো।
গ্রামবাসী শরিফুল ইসলাম জানান, সোহানকে আটকের পর শত শত মানুষের সামনে সে সাফওয়ানকে পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এদিকে নিহত সাফওয়ানের মুখমন্ডলে একাধিক নখের আঁচড় রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে পানিতে চুবানোর সময় তাকে মারধর করা হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামবাসীর হাতে আটক সোহানকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শিশু সাফওয়ানকে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে সরকারের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বায়ান্ন/এসএ