গার্মেন্টসের পরিত্যাক্ত মালামাল বা ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এড়াতে কারখানায় গিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার।
রবিবার(১৭ নভেম্বর) দুপুরে টঙ্গী স্টেশন রোডে সানুফি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামক কারখানা পরিদর্শন করেন সালাউদ্দিন সরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সানুফি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানায় পরিত্যক্ত মালামাল বিক্রয়ে টেন্ডার আহবান করে কর্তৃপক্ষ। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সিভি জমা দেন। টেন্ডারের কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় বিএনপি ও যুবদলের দুটি গ্রুপ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। রবিবার বিএনপি'র দুটি গ্রুপ পরিত্যক্ত মালামাল বের করার চেষ্টা করে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। পরে দু'পক্ষই খবর পেয়েই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায়। এতে টঙ্গী- কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের স্টেশন রোডে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার কারখানায় এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেন। এরপর তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।
সানুফি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে টেন্ডার আহ্বানে সিভি জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান রনি এন্টারপ্রাইজের মালিক সালাউদ্দিন সরকারের ভাতিজা সরকার শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই সাথী মালামাল নিয়ে গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সাথী বলেন, আমি সিভি জমা দিয়েছি। এখনো কাজ পাইনি। মালামাল নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন সরকার বলেন, কারখানার ব্যবসা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে শোনে আমি কারখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে কর্তৃপক্ষকে সুষ্ঠভাবে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করতে অনুরোধ করি। একই সাথে কারখানার জায়গাতে আমাদের আদি বাড়ি ছিল বলে জানিয়ে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আমার সহযেগিতার থাকবে বলে জানিয়ে আসি। ঝুট ব্যবসা নিয়ে ঝামেলা এড়াতে ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি কারখানায় গিয়েছিলাম।