ঢাকা, শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ ১৪৩১
ইট-ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে ব্যর্থতায়

তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ আটজনকে হাইকোর্টে তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ০২:১৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

অবৈধ ইটভাটা ও এসবে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বা কাঠ পোড়ানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সাভার-ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকেও (ইউএনও) একই ব্যাখা চেয়ে তলব করা হয়েছে। সামনের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদেরকে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। 

এক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, মহসীন কবির রকি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।  

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সারা বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৮ নভেম্বর প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’ 

আদেশ প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,  উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় পূর্বের বন্ধকৃত ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধকৃত ইটভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।

বায়ান্ন/এমএমএল/পিএইচ