বাংলাদেশ থেকে পেঁয়াজ সংকট দূর করতে এবার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উন্নত জাতের পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। ঢাকাস্থ নওগাঁ-৬ আত্রাই উপজেলার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ার হিমশান কোম্পানীর পক্ষ থেকে এই বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।
গতকাল আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইফতেখার এর কাছে এই বীজ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশের উর্বর জমিতে এই বীজ সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা হলে প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন হবে প্রায় এক কেজি পর্যন্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে এই কোরিয়ান পেঁয়াজ আত্রাই ও রানীনগর উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে রোপণ করে উন্নত বীজ বৃদ্ধি করা হবে। এরপর এ দু’টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই পেঁয়াজ চাষের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী কোরিয়ান পেঁয়াজ চাষের প্রতি কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশে কয়েক দফা পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজের এই তীব্র সংকটের কারণে কখনো কখনো ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। যা ছিলো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে। অনাকাঙ্খিত উচ্চ দামে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে অনেক সাধারন মানুষকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উন্নত জাতের পেঁয়াজ চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পেঁয়াজের সংকট দূর করার লক্ষে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বড় আকারের উন্নত জাতের পেঁয়াজের বীজ সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় অবশেষে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার হিমশান কোম্পানীর চেয়ারম্যান কিম থে কিয়ং এবং সিইও কিম ডো সিওলের প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের হাতে উন্নতমানের এই পেঁয়াজ বীজের প্যাকেট তুলে দেন। এ জন্য আত্রাই ও রানীনগরবাসীর পক্ষ থেকে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়ার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এই বীজ সংগ্রহ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশ ব্যাপী এই পেঁয়াজ চাষ করা হলে একদিকে যেমন কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভবান হবেন, অন্যদিকে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব হবে। এতে বানিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ লাভবান হবে। এ জন্য পর্যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী এই বীজ সরবারাহ করা হবে এবং কৃষকদের এই কোরিয়ান পেঁয়াজ চাষের প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।