ঢাকা, মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮শে কার্তিক ১৪৩১

দূর্নীতির দায়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপলব কুমার বদলী হয়েও ক্ষমতার দাপটে পূনরায় পদে বহাল, ক্ষমতার উৎস কোথায়?

মোতালেব হোসেন : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

একাধিক দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপলব কুমার ঘোষ দীর্ঘদিন যাবৎ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিমানবন্দর মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, গাড়ি পার্কিং এর ড্রাইভারদের কাছে চাঁদা দাবী, নিজেই বিমানবন্দরে পুরাতন ইট দিয়ে স্ল্যাব বানিয়ে ভূয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে বিল করানো, বিমানবন্দর উন্নয়নের কাজ ঠিকাদারের সাথে যোগসাজোস করে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করানো ফলে সান প্রুফ গ্লাস বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা হয় ভিআইপি যাত্রীদের। বিমানের ভিআইপি রেষ্ট হাইজকে তিনি বানিয়েছেন ব্যাক্তিগত বৈঠকখানা, যখন তখন তিনি সেখানে তার কুকর্মের সহযোগীদের নিয়ে পার্টি দেন। কেউ এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ বা কানাঘুষা করলে তিনি তাদের সেখানে কৌশলে ডেকে নিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১/০৮/২০২১ ইং তারিখে রাত ৮ টায় ফ্লাইটের নভোএয়ারের সিডিউল সময়ে ফ্লাইট নং ঠছ-৯৭৯ এর ল্যাল্ডিং এর সময়ে রানওয়েতে তিনি একাই কান্ডজ্ঞানহীন ভাবে ড্রাইভিং প্রাকটিস করছিলেন অল্পের জন্য সেদিন নভোএয়ারের বিমানটি দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এই সকল দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার খবর দৈনিক দাবানলে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে তদন্ত টীম গঠন করে যার স্বারক নং-৩০৩১.৭৩০০.৬০১.০১০০৪.২০-১৬৪৪ চিঠিবলে তদন্ত টীম তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্দকালীন সময়ে তিনি সাংবাদিকদের জোর তদ্বির করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত কাজে বাধা সৃষ্টি করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন। তিনি তার অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে শাস্তির পরিবর্তে প্রমোশন বাগিয়ে নেন। সর্বশেষ ১৯/১০/২০২১ তারিখে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মোঃ আবিদুল ইসলাম সহকারী পরিচালক প্রশাসন স্বাক্ষরিত স্বারক নং-৩০.৩১০০০০.২০১.০২.০০৮.২১-৩৬৯১ বলে সুপলেব কুমার ঘোষকে পদায়ন এটিএম বিভাগ, সিএএবি, সদর দপ্তর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বদলী করা হয়। এবং গত ৩০শে নভেম্বর মাসুদুর রহমান নামে ম্যানেজার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যোগদান করেন। 

আগামীতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের ভাগ বাটোয়ারা ও কমিশন খাওয়ার আশায় মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে তিনি জোর তদ্বীর করে পূনরায় ১লা ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মাসুদুর রহমানকে একদিনের মাথায় চেয়ার থেকে সরিয়ে পুনরায় তিনি ক্ষমতায় বসেন। প্রমোশন পেয়েও তিনি চাকুরী বিধিমালা লঙ্ঘন করে কিভাবে পূনরায় স্বপদে বহাল হলেন সেটি এখন সুধীমহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ঠিকাদার সবাই হতবাক হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।