![](https://dainikbayanno.com/storage/untitled-9-38.jpg)
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বসতঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে শাহাজামাল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী এলাকায়।
জানা যায়, টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী বাজার এলাকায় ১৯৭০ সালে এক দশমিক পাঁচ একর জমি ধনী রামের নিকট থেকে মোজাম্মেল হক কিনে নেন। পরে মোজাম্মেল হকের নিকট থেকে সফিকুল ইসলাম কিনে নেন ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর। যার এসএ খতিয়ান নম্বর ৬ এবং এসএ দাগ নম্বর ৪১। ২১ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি বটতলী এলাকার হবিবরের ছেলে শাহাজামাল মিয়া জোরপূর্বক ভাবে দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এখবর জানতে পেরে সফিকুল ইসলাম আদালতে ২৯ জানুয়ারী ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করার জন্য মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৪৯/২৫। মামলা করার পরে আদালত ২৯ জানুয়ারী ওই জমিতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে আদেশ দেন। আদালত বাদি, বিবাদি উভয়পক্ষকে জমিতে প্রবেশ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জমিতে খুন জখমসহ শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকার কারনে ২৯ জানুয়ারি এ আদেশ দেন।
এ আদেশ অমান্য করে শাহাজামাল মিয়া ৪ জানুয়ারী বিকেলে ওই জমিতে লোকজন নিয়ে ঘর নির্মান করে। এঘটনা জানতে পেরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জমিতে ঘর নির্মানের ঘটনার সত্যতা পান। ঘর নির্মান করার খবর জানতে পেরে সফিকুল ইসলাম ৪ জানুয়ারী দেবীগঞ্জ থানায় পুনরায় লিখিত অভিযোগ দেন। শাহাজামাল মিয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কাগজপত্র সব ঠিক আছে।
সফিকুল ইসলাম জানান, আমার কেনা জমি শাহাজামাল মিয়া দখল করার জন্য আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ভাবে ঘর নির্মান করে। এটা জানার পরে আমি দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। জমি উদ্ধারের জন্য আদালতের নিকট আমি ন্যায় বিচার চাই।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। মামলার বাদিকে আদালতে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।