![](https://dainikbayanno.com/storage/highcourt-12.jpg)
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, তা নিয়ে বহুল আলোচিত রুলের রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা শুরু করেন।
রায়ের মূল অংশ পাঠ করছেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর এই রুলের রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। টানা ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করা হয়।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এ নিয়ে বিতর্কিত এই সংশোধনীটি কেন সংবিধান পরিপন্থী হবে না, তা জানতে ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের বেঞ্চ ওই রুল জারি করেছিল।
রিটটি করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ কয়েকজন। এর ভিত্তিতে আদালত পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এই রুলের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।
রিটকারীদের পক্ষে সুজনের আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া যুক্তি তুলে ধরেন। বিএনপির পক্ষে দলটির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল শুনানি করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
চার আবেদনকারীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী এবং ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এই সংশোধনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবিধানে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম এবং আরও চারজন আবেদনকারী এই রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে যুক্ত হন।
আলোচিত এই রায়ের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিক-নির্দেশনা। হাইকোর্টের এই রায় কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল, বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র আগ্রহ বিরাজ করছে।
বায়ান্ন/এসএ