জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সাগরকন্যা খ্যাত দক্ষিনের জেলা পটুয়াখালীতে। জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঝাউতলা মাঠে ২৫ জানুয়ারি দুপুরে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন করবেন তিনি। জেলা জামায়েতের সভাপতি এডভোকেট নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহানগর জামাত দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধূরী। দক্ষিনাঞ্চলে প্রথমবারের মতো বিশাল পরিসরে এ মাহফিলের আয়োজন করেছে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ।
মাহফিল আয়োজক কমিটি সুত্র জানায়, বরিশাল বিভাগের একমাত্র মাহফিলটি পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাহফিলে কমপক্ষে প্রায় ১০ লাখ মানুষের আগমন ঘটবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঝাউতলা মাঠ ছাড়াও আরো ৯টি মাঠসহ মোট ১০টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে মুসল্লীদের জন্য। এরমধ্যে শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে আবদুল হাই বিদ্যানিকেতন, হাউজিং স্টেটেট ও লতিফ মিউনিপিপ্যাল স্কুলের ৩টি মাঠ। নারীদের জন্য নিধারিত মাঠগুলো পুরো প্যান্ডেল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সারা শহরের সড়কে সড়কে শোভা পাচ্ছে ব্যানার ফেষ্টুন। আজহারীকে স্বাগত জানাতে তৈরী হয়েছে বিশাল বিশাল তোড়ন। সারা শহরকে মাহফিলের আওতায় আনতে লাগানো হয়েছে চার শতাধীক মাইক। তৈরী করা হয়েছে দেড় হাজার অস্থায়ী টয়লেট। নির্মান করা হয়েছে অজুখানা যেখানে একসাথে কয়েক হাজার মানুষ ওজু করতে পারবেন।
সরেজমিন পরিদর্নকালে ঝাউতলা মাঠ প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেক লোক ইতিমধ্যে মাহফিল প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়েছে। গলচিপা থেকে আগত মো: আবু বক্কর(৫৫),হোসেন আলী(৬০) জানান, মাঠে জায়গা পাওয়া যাবে না তাই তারা দুই দিন আগেই মাহফিল মাঠে চলে এসেছেন। এছাড়া প্রতিদিন কাজের অগ্রগতি দেখতে মুল মাঠে ভীড় করছেন বিভিন্ন প্রান্তের শত শত মানুষ। পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নাহিয়ান জানান, বরিশাল বিভাগের মধ্যে মিজানুর রহমান আজহারীর এটিই প্রথম মাহফিল। তাই মাহফিলে পটুয়াখালী জেলা ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক ও লঞ্চযোগে লাখ লাখ মানুষ আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাহফিল মাঠ গুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ৫০ টি এলইডি মনিটর ও লায়নার সাউন্ড সিস্টেম। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠের চারপাশে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে । সকলের সহযোগীতায় বিশাল এই তাফসীর মাহফিল সফল ও সার্থক হবে এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।
পটুয়াখালীর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিপুল জনসমাগম হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। বরিশাল থেকে রির্জাভ ফোর্স এসে জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করছে। এছাড়া র্যা ব ও সেনাবাহিনী সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করছে। সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ আয়োজনটি সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ