ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাবনায় হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পাবনা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:১৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পাবনার সদরে সৈয়দ দলিল উদ্দিন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইশরাত জাহান মুন্নি এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মজিদপুর গ্রামের নওজেশ আলীর ছেলে দেওয়ান রতন, একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলী খানের ছেলে ওয়াদুদ আলী রায়ের সময় দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর নিহত দলিল উদ্দিন পাবনা সদর উপজেলার মজিদপুর এলাকার মৃত সৈয়দ মঈদ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর ১৫ বছর যাবত এলাকায় একটি গভীর নলকুপসহ বেশ কিছু জিনিসপত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে মজিদপুর এলাকার গভীর নলকুপের পাহারারত অবস্থায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করতে আসে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। ঘটনায় তিনি বাধা দিলে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে সেই নলকুপের ভিতরে  মরদেহ ফেলে বাহিরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাবিবুর রহমান কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালে ১০ জনের নামে চার্জশিট দাখিল হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আজ আদালত হত্যা প্রমানিত হওয়ায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। বাকি ৮ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব এমএ মতিন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়।  উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দন্ডপ্রাপ্তরা নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা করছি।
আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, এই মামলায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৮ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।