ঢাকা, রবিবার ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০শে মাঘ ১৪৩১

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে আমরণ অনশন

আকিব সুলতান অর্নব, জাবি | প্রকাশের সময় : রবিবার ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৫:০৫:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষা থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ গণঅনশন শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন অনশনকারীরা।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। সে জায়গা থেকে আমরা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছিলাম যেন অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করা হয়। কিন্তু প্রশাসন আমাদের কথায় কোন গুরুত্ব দেয় নাই আমরা এর আগেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি তবে আজ বাধ্য হয়ে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণঅনশনে ডাক দিয়েছে। 

সেই জায়গা থেকে আমাদের ভাই বোনেরা আজ এই গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সচেতন শিক্ষার্থীদের এই গণ অনশনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর ভাবে বার্তা দিতে চাচ্ছি যে যতক্ষণ না এই অযৌক্তিক প্রশ্নটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণরূপ বাতিল হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। 

দরকার পড়লে আমরা যদি এর থেকে কঠোর কোন কর্মসূচিতে যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়ার মতো সে রকম কর্মসূচি যেতেও আমরা প্রস্তুত আছি।

সংগঠক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, জুলাইয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য আবু সাইদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য ভাইবোন শহীদ হয়েছেন। এতো রক্ত কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য দেওয়া হলো এরপরও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা রয়ে গেছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার ও হতাশার বিষয়। অযৌক্তিক এ কোটার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে গরীব কৃষক, শ্রমিকের সন্তান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে অযৌক্তিক পোষ্য কোটার কলঙ্ক থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা আমৃত্যু গণঅনশনে বসেছি।

অনশনে বসা শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, পৌষ্য কোটার মত বৈষম্য আর নেই। আমরা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা নামক পোষ্য কোটা চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যত্যয় ঘটায়।