কারো রক্ত লাগবে ফোন দিলে, ছুটে যেতো রক্ত দিতে। ওই রকম একজন রোগীকে রক্ত দিতেই ছুটে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল যোগে সলিমগঞ্জে। পথিমধ্যে নবীনগর -কোম্পানীগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ নামক স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে প্রাণ গেলো আলিয়াবাদ গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী শিহাব উদ্দিন (২৫) ও গুরুতর আহতাবস্থায় তার চাচাতো ভাই ফরিদ মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২৪) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে সেও মারা যায়। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে। নিহতদের বাড়ি পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামে
বাড়িতে গিয়ে কথা নিহত শিহাবের পিতা রফিক মিয়ার সাথে তিনি জানান, এখন আমারে কেডা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাইবো। রক্ত দিতো গিয়া আমার পোলা শেষ হয়ে গেলো বলে তিনি বিলাপ করছেন।
নিহত বোরহানের বাবা ফরিদ মিয়া কান্নাজনিত কন্ঠে জানান, আমার বংশে দুই ভালো ছেলে আমাদের রেখে চলে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল জানান, মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতি এসে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিহাবকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুত্বর আহত বোরহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
নবীনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ইলিয়াস আহম্মেদ জানান, শিহাব ঘটনাস্থলেই ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায় ।
ব্লাডগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল জানান, শিহাবের মা-বাবা অসুস্থ থাকার পরও তাকে কেউ রক্তের জন্য ফোন দিলে রক্ত দিতে ছুটে যেতো। দুইজন ছিল স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিহাব ঘটনাস্থলে ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়।