নির্বাচনী প্রচারে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণবিধির এ আইন না মানলে হতে পারে জেল-জরিমানা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এমন নির্দেশনা দিয়ে তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাস্তবায়নের জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।
সংস্থাটির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন, যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারে ব্যবহার করছেন জীবন্ত প্রাণী।
গণমাধ্যমের খবর প্রকাশ হয়েছে, সোমবার হবিগঞ্জ-২ আসনের তিনবারের এমপি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান নিজের প্রতীক হিসেবে জীবন্ত ঈগল নিয়ে প্রচারে নেমেছেন।
এ নিয়ে ইসির যুগ্ম সচিব ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া নানা বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সময় ব্রিফ করা হয়েছে। আচরণবিধি না মানলে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান আছে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেয়ালে লিখে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থী। কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেওয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়ক দ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অংকন করতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এক হাজার ৮৯৫ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।