বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা ইউনূস স্যার (অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) প্রতি আস্থাশীল, পৃথিবীর মানুষের আস্থা আছে, সরকারকে সহযোগিতা করছে দেশের মানুষ একদম নিঃস্বার্থভাবে।
তিনি আরও বলেন, কাজেই তাদের (সরকার) সিদ্ধান্ত নিতে হবে একেবারে বলিষ্ঠ, আরো যুগোপযুগি, আরো দ্রুততার সঙ্গে। তা না হলে কোন অবস্থাতে ওই সমস্ত স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আজকে ঘাপটি মেরে আছে তারা কিন্ত ফনা তোলার জন্য, আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করছে, করবে, করতেই থাকবে। কাজেই তাদের বিষদাঁত যদি ভেঙে দিতে হয় স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন, তাদেরকে প্রশাসন থেকে এবং আপনাদের আশ-পাশ থেকে সরিয়ে দেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের (জেটেব) উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা: প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডা, জাহিদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মনে রাখতে হবে আজকে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের শপথ নিয়ে মনে রাখতে হবে বন্ধুদেরকে, ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করবেন না। জাতি ৫ই আগস্ট ঐক্যবদ্ধ ছিলো বলেই স্বৈরাচার পালিয়েছে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হতো তাহলে সবাই আমরা ব্যর্থ হতাম। কাজেই সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে, ঐক্য ধরে রাখার জন্য যেটি প্রয়োজন সেটি হলো কমন এনিমি যেটি সেটাকে চিহ্নিত করুন এবং দ্রুততার সঙ্গে জনগণকে তার অধিকার আদায়ের সুযোগ দিন। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে, দেশ কাদেরকে ধারণ করবে, আগামীদিনের বাংলাদেশ কেমন হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা বুঝার চেষ্টা করুন, দেশের মানুষের অধিকার দ্রুততার সঙ্গে ফেরত দেয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে মানুষ আপনাদেরকে সাদুবাদ জানাবে, ইতিহাস তখন আপনাদেরকে ধারণ করবে। আর যদি তা না হয়, লক্ষণ সেনকেও যেমন ইতিহাস ধারণ করে নাই, পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, যতই হুমকি ধামকি করুক, হিটলারও ফেরত আসে নাই, তার বংশধররাও আসে নাই, লক্ষনের শাসন ব্যবস্থাও ফেরত আসে নাই আর পলাতক স্বৈরাচারের শাসন ব্যবস্থাও বাংলাদেশে ফেরত আসার সম্ভাবনা নাই।
জেটেবের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে