ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ফিস হ্যাচারীর উন্নয়নে ডিজির হাতে প্রস্তাবনা হস্তান্তর নয়ন এমপি'র

মোঃমুরাদ, লক্ষ্মীপুর : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৫ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৪২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ( ডিজি ) খন্দকার মাহবুবুল হক এর সাথে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় ও সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা পত্র হস্তান্তর ও

জরুরী ভিত্তিতে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি। 

 

ষাটের দশকে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রায় ২৮ হাজার পুকুরসহ বিস্তীর্ণ জলাশয়। এতে হ্রাস পেতে থাকে এ অঞ্চলের মৎস্য উৎপাদন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮২ সালে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫৪ একর জায়গাজুড়ে ‘মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করে তৎকালীন সরকারের মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়, যা রায়পুর মৎস্য হ্যাচারি নামে পরিচিত। এখানকার উৎপাদিত রেণু-পোনার গুণগত মান ভালো থাকায় দেশের অন্তত ৪০টি জেলায় সরবরাহ করা হয়। তবে কেন্দ্রের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও সেটি চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত নয়। বিপরীতে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও সেটিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে হ্যাচারি ভবনসহ অবকাঠামোগুলো। অভাব রয়েছে প্রয়োজনীয় জনবলেরও। এসব সংকটে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ মৎস্য হ্যাচারিটি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫টি পুকুরসহ নির্মিত রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন হয় ১৯৮২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। তবে নির্মাণের ৩৯ বছরেও প্রতিষ্ঠানটিতে করা হয়নি বড় ধরনের কোনো উন্নয়নকাজ। সরকারি এ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে ৮২টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পানি ও বিদ্যুৎ লাইনসহ অবকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। এতে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পোনার উৎপাদন, তেমনই নষ্ট হচ্ছে গুণগতমান।

 

তথ্যমতে, গত এক দশকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে লক্ষ্মীপুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেণু এবং পোনা উৎপাদন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয়ও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০১০ সালে ৭১৯ কেজি রেণু ও ১৬ লাখ পোনা উৎপাদন করে ৪৪ লাখ টাকা আয় করেছিল কেন্দ্রটি। ২০১৮ সালে কেন্দ্রটি থেকে ৭৬৯ কেজি রেণু ও প্রায় ২৩ লাখ পোনা উৎপাদন হয়। রাজস্ব আয় হয় প্রায় ৪৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২০ সালে ১ হাজার ২৫ কেজি রেণু উৎপাদন করে লক্ষ্মীপুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পোনা উৎপাদন হয় ২৩ লাখের বেশি।

রেণু ও পোনা বিক্রি করে গত বছর ৬০ লাখ টাকার বেশি আয় করে কেন্দ্রটি।

 

তাছাড়া চলতি বছর রেণু পোনা উৎপাদনে ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্ধবছরেই (জানুয়ারি-জুন) আয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪০৯ টাকা। বছর শেষে রেণু পোনা উৎপাদনে কোটি টাকারও বেশি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এজন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনবল সংকট ও অবকাঠামোসহ নানা অব্যবস্থাপনা। যে কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রেণু পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এতে চাষীরা খালি হাতে ফিরছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।   

 

২০১৮ সালে রায়পুর হ্যাচারি নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়। উত্থাপিত ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা রায়পুর মৎস্য হ্যাচারিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ১৩টি সমস্যা চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তা সমাধানের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু সুপারিশের তিন বছরেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

 

সুপারিশপত্র বিশ্লেষণে জানা যায়, ৭৫টি পুকুরের মধ্যে ছোট ছোট পুকুরকে বিন্যাস করে ৬৬টি পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। ২৬টি পুকুরের পাড় ভেঙে তলদেশে মাটি ভরাট ও প্রচুর জলজ আগাছা জন্মানোয় মাছ চাষের অনুপযোগী, অন্য ২০টি বড় পুকুর পাড়ের রাস্তা ভেঙে সরু হওয়ায় মাছের খাদ্য ও রাসায়নিক উপকরণ নিয়ে পিকআপ/ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। মাছ চাষের উপযোগী করতে এসব পুকুরের তলদেশ পুনর্খনন, রিটার্নিং ওয়াল তৈরি এবং মালামাল পরিবহনের জন্য সেমিপাকা রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর তৈরি করা প্রয়োজন বলে সুপারিশ করা হয়।

 

জনবল সংকটের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রটিতে ৮১টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র ১৭ জন। এর মধ্যে তিনজন অন্যান্য দপ্তরে সংযুক্তির মাধ্যমে কাজে নিয়োজিত। তীব্র জনবল সংকট নিয়েই উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংকট নিরসনে একজন উপপরিচালকের পদ সৃজনসহ ছয়জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আটজন দক্ষ ফিশারম্যানসহ অন্য পদগুলোতে দ্রুত লোকবল নিয়োগের জন্য বলা হয়।

 

রেণু-পোনা প্রজননের মূল কেন্দ্রের ভবনটির অভ্যন্তরে ছাদের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার খসে পড়ছে। ভেতরের অবকাঠামো বর্তমানে রেণু-পোনা উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়, যা উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। কার্প জাতীয় রেণুর পাশাপাশি চাষীদের চাহিদা মেটাতে কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা ও অ্যাকুয়ারিয়াম মাছের পোনা উৎপাদনে জন্য সার্কুলার ট্যাংকসহ রেণু ফোটানোর বোতল এবং ভবন সংস্কারসহ অন্যান্য অবকাঠামো বৃদ্ধির বিষয় সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও আবাসিক এলাকা ও এর ভবনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সাতটি আবাসিক ভবনের মধ্যে কর্মকর্তাদের জন্য দুটিতে ১২টি ইউনিট ও কর্মচারীদের জন্য পাঁচটিতে ৩০টি ইউনিটের বাসা রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অফিস ভবন ও মিলনায়তন, প্রশিক্ষণ ডরমিটরি, রেস্ট হাউজ, গুদাম ভবন, গাড়ি ও অন্য যন্ত্রপাতির উন্নয়ন কাজ এবং মৎস্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিনের বৈদ্যতিক পুরানো তার ও খুঁটি পরিবর্তনপূর্বক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় উল্লেখসহ ১৩টি সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

 

সরেজমিনেও মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটির জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকার দৃশ্য দেখা যায়। দীর্ঘদিন পানি, বিদ্যুৎ লাইনসহ রাস্তাঘাট, হ্যাচারি বিল্ডিং, ডরমিটরি ও ছাত্রাবাস সংস্কার করা হয়নি। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিঘ্ন ঘটছে উৎপাদন কার্যক্রমে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার তিনটি পদসহ ৬৪টি পদই শূন্য। নেই একজনও দক্ষ ফিশারম্যান। ফলে  ব্যাহত হচ্ছে রেণু-পোনা উৎপাদন। ধরে রাখা যাচ্ছে না গুণগত মানও। চাহিদামতো রেণু-পোনা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৎস্যচাষীদের।

 

রায়পুর মৎস্য হ্যাচারি থেকে নিয়মিত পোনা সংগ্রহ করা বেশ কয়েকজন মাছচাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানকার রেণু-পোনার গুণগত মান ভালো। তাই রেণু নিতে বার বার আসতে হয়। কিন্তু চাহিদা অনুপাতে রেণু-পোনা কম পাওয়া যায়। কয়েকবার খালি হতেই ফিরতে হয়েছে। এতে যাতায়াত খরচও বেড়ে যায়। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

 

হ্যাচারির একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুরো হ্যাচারিরই এখন নাজুক পরিস্থিতি। যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ২০১৭ সালে পুকুর ও প্রশিক্ষণ ভবনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য প্রায় ৩৭ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়া হয় একনেক সভায়। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ রাজস্ব আহরণে অবদান রাখত প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে ঐতিহ্যে ফেরানোর পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রেণু-পোনা সরবরাহের মাধ্যমে দেশে মৎস্য চাষে সমৃদ্ধ হতো। কিন্তু বাস্তবায়ন না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তবু সীমিত জনবল দিয়েই মৎস্যজীবীদের জন্য রেণু-পোনা উৎপাদনে কাজ করছেন তারা।

 

এ ব্যাপারে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক লুত্ফুর রহমান বলেন, নতুন আসার কারণে এখনো সমস্যাগুলো বুঝে উঠতে পারিনি। তবে জনবল সংকট ও অবকাঠমো সমস্যা তীব্র। জনবল নিয়োগের পাশাপাশি তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে এখানের উৎপাদিত রেণু-পোনা দিয়ে কয়েক গুণ রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বলে জানান এ কর্মকর্তা।

 

লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র। পুকুর, অবকাঠামো সংকট নিরসনের জন্য এরই মধ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সংকট দূর হবে বলে প্রত্যাশা তার।

 

১২টি ইউনিট ও কর্মচারীদের জন্য পাঁচটিতে ৩০টি ইউনিটের বাসা রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অফিস ভবন ও মিলনায়তন, প্রশিক্ষণ ডরমিটরি, রেস্ট হাউজ, গুদাম ভবন, গাড়ি ও অন্য যন্ত্রপাতির উন্নয়ন কাজ এবং মৎস্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিনের বৈদ্যতিক পুরানো তার ও খুঁটি পরিবর্তনপূর্বক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় উল্লেখসহ ১৩টি সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

 

সরেজমিনেও মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটির জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকার দৃশ্য দেখা যায়। দীর্ঘদিন পানি, বিদ্যুৎ লাইনসহ রাস্তাঘাট, হ্যাচারি বিল্ডিং, ডরমিটরি ও ছাত্রাবাস সংস্কার করা হয়নি। অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিঘ্ন ঘটছে উৎপাদন কার্যক্রমে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার তিনটি পদসহ ৬৪টি পদই শূন্য। নেই একজনও দক্ষ ফিশারম্যান। ফলে  ব্যাহত হচ্ছে রেণু-পোনা উৎপাদন। ধরে রাখা যাচ্ছে না গুণগত মানও। চাহিদামতো রেণু-পোনা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মৎস্যচাষীদের।

 

রায়পুর মৎস্য হ্যাচারি থেকে নিয়মিত পোনা সংগ্রহ করা বেশ কয়েকজন মাছ চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানকার রেণু-পোনার গুণগত মান ভালো। তাই রেণু নিতে বার বার আসতে হয়। কিন্তু চাহিদা অনুপাতে রেণু-পোনা কম পাওয়া যায়। কয়েকবার খালি হতেই ফিরতে হয়েছে। এতে যাতায়াত খরচও বেড়ে যায়। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

 

হ্যাচারির একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুরো হ্যাচারিরই এখন নাজুক পরিস্থিতি। যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ২০১৭ সালে পুকুর ও প্রশিক্ষণ ভবনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য প্রায় ৩৭ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়া হয় একনেক সভায়। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ রাজস্ব আহরণে অবদান রাখত প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে ঐতিহ্যে ফেরানোর পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রেণু-পোনা সরবরাহের মাধ্যমে দেশে মৎস্য চাষে সমৃদ্ধ হতো। কিন্তু বাস্তবায়ন না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তবু সীমিত জনবল দিয়েই মৎস্যজীবীদের জন্য রেণু-পোনা উৎপাদনে কাজ করছেন তারা।  

 

এ ব্যাপারে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লুত্ফুর রহমান বলেন, নতুন আসার কারণে এখনো সমস্যাগুলো বুঝে উঠতে পারিনি। তবে জনবল সংকট ও অবকাঠমো সমস্যা তীব্র। জনবল নিয়োগের পাশাপাশি তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে এখানের উৎপাদিত রেণু-পোনা দিয়ে কয়েক গুণ রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বলে জানান এ কর্মকর্তা।

 

লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র। পুকুর, অবকাঠামো সংকট নিরসনের জন্য এরই মধ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে জমা দিয়েছি। খুব শিগগিরই সংকট দূর হবে বলে প্রত্যাশা তার।