বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় সমাবেশ শেষে ফেরার পথে গনতন্ত্র মঞ্চের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ২ জন শ্রমিক নেতাসহ ৩ জন আহত হন বলে গনতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। আহতরা হলেন-আইয়ুব আলী, ওসমান গনি ও মাইক্রোবাস চালক শরিফ উদ্দিন শওকত। ঢাকা থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ সোমবার বগুড়া আসে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায় জয়পুরহাট মোড়ে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ হয়। সন্ধ্যার পর সমাবেশ শেষে রোড মার্চের গাড়িবহর বগুড়া শহরে ফেরার পথে সেখানে হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের মঙ্গলবার বগুড়াতে কর্মসুচী পালন করার কথা রয়েছে। অপর দিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মোকামতলার সমাবেশের জন্য সবধরনের নিরাপত্তা দেয়া হয়। সমাবেশ শেষে কোন হামলা হয়নি তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে গাড়িতে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের পদত্যাগ ও অর্ন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ রবিবার ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোড মার্চ শুরু করে। সোমবার বিকালে জয়পুরহাট হাট মোড়ে তারা সমাবেশ আয়োজন করে। এসময় পুলিশের পক্ষ থকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হয়। সমাবেশ শেষে শহরের দিকে ফেরার পথে ঢিল ছুড়ে গাড়িবহরে হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। হামলার পরে গনতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাতে বগুড়া প্রেসক্লাবে এসে হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাদের ওপর সরকারী দল ঢিল ছুড়ে হামলা এবং লাঠি দিয়ে হামলার চেস্টা করে। তবে নেতৃবৃন্দ বলেন এক্ষেত্রে পুলিশের ভালো উদ্যোগ ছিলো। সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন ভালো নিরাপত্তা দিলেও আসার পথে সমাবেশ স্থলের ৫০ গেেজর মধ্যে গাড়ি বহরে হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। তারা হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন। এদিকে মঙ্গলবারে বগুড়া শহীদ খোকন পার্কে গনতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। একই স্থানে যুবলীগ সকালে শান্তি সমাবেশ আহবান করেছে। গনতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি পাওয়া গেছে। রাতে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গনতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চে আসা বিপ্লবী ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এদিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন শহীদ খোকন পার্কে সমাবেশের কোন অনুমতি তারা দেননি। কারণ শহীদ খোকন পার্ক পৌরসভার। স্থানের অনুমতি দিবে পৌরসভা।