পুলিশের বাধা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পুলিশ, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সহ ১০ জন আহত, রাবার বুলেট নিপেক্ষ
বিএনপি'র ডাকে রবিবার সকাল থেকে বগুড়ায় হরতাল শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে শহরে রিক্সা অটোরিক্সা ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে।
হরতালের সমর্থনে সকালে শহরের নবাববাড়ি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল শহরের পুলিশ প্লাজার সামনে এলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনায় বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওয়ালিউল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় সহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অন্যদিকে শহরের গালাপট্টি শহর বিএনপির কার্যালয় থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির একটি গ্রুপ আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালানোর চেষ্টা করে এসময় তাদের প্রতিহত করা চেষ্টা করলে বিএনপি ছাত্রদল কর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়।
এছাড়া আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ একটি শান্তি মিছিল নিয়ে নবাববাড়ী রোড দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি অফিসের সামনে তাদের শান্তি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বগুড়ায় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছে।
এদিকে, হরতালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া র্যাব শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পুলিশ বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রথমে বাঁধা ও পরে রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে বিএনপি’র গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঁধা দিচ্ছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। এখন পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।