ঢাকা, রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: পারস্পরিক নির্ভরশীলতার নতুন অধ্যায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের প্রতি আগের চেয়ে আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এই সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছে পারস্পরিক স্বার্থ, সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এই মূল্যায়ন করেছেন।

রোববার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাইকমিশনার ভার্মা এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে যেভাবেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, দুদেশের মানুষের মধ্যে গভীর একটি সংযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক আমাদের উভয়ের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রণয় ভার্মা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এই দৃঢ় অবস্থান আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি কেবল দুই দেশের জন্যই নয়, পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশ এশিয়ায় ভারতের সর্বোচ্চ রপ্তানির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, “একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ভারতের জন্য অপরিহার্য, তেমনি একটি শক্তিশালী ও উন্নত ভারতও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে।”

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এই নির্ভরশীলতাকে ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত করতে চান। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক কেবল দুই দেশের নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ফোরামটি দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক এখন শুধু কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নয়। এটি ক্রমশ পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একটি নতুন ধারা তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণের জন্য আরও ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে