ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি কার্যালয়ে নাশকতার তথ্য পেয়েছে সিটিটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০০:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সোয়াত টিমের সদস্যও মোতায়েন রয়েছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের বিশেষায়িত সোয়াত টিম মোতায়েন কেন।

এ বিষয়ে সিটিটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর বিস্ফোরকের খবর পায় সিটিটিসি। পরে ঘটনাস্থলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে পাঠানো হয়। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের প্রোটেকশন হিসেবে সোয়াত টিমকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নয়াপল্টন এলাকা থেকে বেশকিছু বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিএনপি কার্যালয়ে নাশকতা সামগ্রী ও এক্সপ্লোসিভ (বিস্ফোরক দ্রব্য) মজুত করা হয়েছে। বিস্ফোরকের খবর পেয়ে আমরা বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে পাঠাই। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের প্রটেকশন হিসেবে সোয়াত টিমকে মুভ করা হয়। এ কারণেই ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের নিরাপত্তার স্বার্থে সোয়াত টিমকে পাঠানো হয়।

dhakapost

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের টিম এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা সার্চ করছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বেশকিছু বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। তবে এখনো সেটি ক্লিয়ার নয়। যেহেতু এখনো চেকিং শেষ হয়নি, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

কোন পরিপ্রেক্ষিতে সোয়াত মোতায়েন করা হলো, এই প্রশ্নে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ফোর্স দরকার ছিল, কল করেছি, তখন বাড়তি ফোর্স এসেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিবি ও সোয়াত সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

সোয়াতকে কেন ডাকতে হলো, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশ যখন মনে করে, তখনই বিশেষ বাহিনীগুলোকে কল করা হয়।

এদিকে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সকার বলেন, দেশের সেফটি এবং সিকিউরিটিকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের কোনোভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ ছাড় দেবে না। এরই অংশ হিসেবে আমরা যখন দেখলাম  জনগণের জানমালের জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যক্রম হচ্ছে নয়াপল্টন এলাকায় এবং পুলিশের ওপর হামলা ও বোমা নিক্ষেপ হয়েছে তখন আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। পল্টন থেকে অবৈধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছি। অসংখ্য সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া অসংখ্য বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

কত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বলা যাবে না, আমরা এখন অ্যাকশনে আছি। তবে গ্রেপ্তারের সংখ্যা অসংখ্য।

বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কি না পুলিশ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।