শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অনশন চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টা উপচার্যের বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজু বলেন, আমাদের এ আন্দোলন কেবল মাত্র উপচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে। এ আন্দোলন সরকার বিরোধী কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং নিবে না। আমাদের এ আন্দোলন সম্পুর্ণরুপে অহিংস। আমাদের এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ব করতে অনেক কুচক্রী মহল গুজব ও মিথ্যা রটনা ছড়াচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন,আমাদের অনশনরত অনেক শিক্ষার্থীদের শরীরের দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কারোই উঠে বসে থাকার ক্ষমতা নাই। এখন পর্যন্ত তিন শিক্ষার্থীকে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তারা যার জন্য অনশন করেছে সে আমাদের কিছু বলছে না। তার কাছে এতগুলো প্রাণের চেয়ে তার চেয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে কোনো সহযোগিতা মিলেনি। বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ করেও সাড় পায়নি। সর্বশেষে উসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে তারা সাত সদস্যের মেডিকেল টিম প্রেরণ করে।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার বিকাল ৪টায় প্রায় আড়াই শ’ শিক্ষকের সঙ্গে জুম মিটিং করেন উপাচার্য। জুম মিটিং শেষে রাত ৮টার দিকে শতাধিক শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের আন্দোলন স্থগিত করার অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বলেন, ‘আগে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে আপনারা একাত্মতা প্রকাশ করুন'।