বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা গেছে- জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত উপ-শহরের ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেলেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যান। কেন তারা ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় পান? অবশ্যই এর পেছনে কোন না কোন কারণ রয়েছে। সচেতন মহল এর প্রকৃত কারণ খুঁজে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছে।
ভৌগলিক, বাণিজ্যিক, যোগাযোগ ও রাজনৈতিক কারণে দিগপাইত জনপদ তথা দিগপাইত উপ-শহর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ কারণেই এখানে বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। এছাড়া প্রতিদিন জামালপুরের বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও কুড়িগ্রাম জেলার যাত্রীগণ এ উপ-শহরের উপর দিয়ে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। ফলে উপ-শহরটিতে সব সময় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখানকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই কিনে নেয়। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের জন্য নিম্নমানের পণ্য সামগ্রী বিক্রি থেকে শুরু করে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। এমন যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন সচেতন মহল। তাই মহলটি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিগণের নিকট এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ছোনটিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এ খবর কানে আসা মাত্রই দিগপাইত উপ-শহরের ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত আলী জানান, ঘটনাটি সত্য। তাই প্রশাসনের নিকট তিনি এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আমিনুল ইসলাম উজ্জ্বল জানান, সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের নিকট এক প্রকার জিম্মি। তাদের সিন্ডিকেটের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষজন অধিক মূল্যে নিম্নমানের মালামাল কিনতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ নিকটবর্তী ছোনটিয়া বাজার, জামতলী বাজার, সানাকইর বাজার ও তুলসীপুর বাজারে এখানের চেয়ে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম। তাই তিনিও এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।