রাজধানীতে গণপরিবহনে ৩০টি কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু হয়েছে। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীজুড়ে সকল বাসে চালু হবে ই-টিকেটিং পদ্ধতি। এরফলে থাকছে না হেলপারের মাধ্যমে ভাড়া আদায় পদ্ধতি। কমে আসবে যাত্রী হয়রানিও। রোববার সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে এ পদ্ধতি চালু করা হলো।
যাত্রীদের অভিযোগের জন্য তিনটি হটলাইন নম্বর- ০১৬১৮৯৩৩৫৩১, ০১৬১৮৯৩৬১৮৫ এবং ০১৮৭০১৪৬৪২২ নম্বর চালু করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ হবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। কমবে গণপরিবহনে যাত্রী ভোগান্তিও।
যাত্রীরা জানান, এ ব্যবস্থা রাজধানীর সব গণপরিবহনে চালু হলে দূরত্ব অনুযায়ী তারা ভাড়া দিতে পারবেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে। বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কারও বাগ্বিতণ্ডা হবে না। স্বস্তি আসবে যাত্রীদের।
রাজধানীতে ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের বাগ্বিতণ্ডা নিত্যদিনের চিত্র দেখা যেত সব গণপরিবহনে। ওয়েবিলের নামে যেখানে সেখানে দাঁড়ানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ লেগেই থাকতো। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তি কমাতে গত ২২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর ৮টি কোম্পানির গণপরিবহনে চালু হয় ই-টিকেটিং। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নগরজুড়ে ই-টিকেটিং চালুর সিদ্ধান্ত হলো।
২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরে সকল কোম্পানি অর্থাৎ ৬০টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩১৪টি বাস ই-টিকেটের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে অতিরিক্ত ভাড়া, গণপরিবহনে নৈরাজ্য আর দুর্ঘটনা কমে আসবে।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী শহর থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা ৩৭টি কোম্পানির বাসসহ মোট ৯৭ কোম্পানির ৫ হাজার ৬৫০ বাস আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ই-টিকেটের আওতার আনার কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব।
এছাড়াও গণপরিবহন মনিটরিং করতে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। চুক্তিতে কাউকে বাস চালাতে না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ জন্য চালকদের বেতন অনেক বাড়ানো হয়েছে। মালিককে দেয়া বাধ্যতামূলক জমার টাকা তুলতে বাসগুলোর মধ্যে যে অসম প্রতিযোগিতা আছে তাও দূর হবে বলে জানা যায়।