রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে(ববি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এসময় তারা কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন এবং দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, ‘আল কোরআনের অপমান, সইবে নারে মুসলমান', জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো','দি*ল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ। এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ, রসায়ন ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হাসিবুল হোসেন, রসায়ন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রফিকুল ইসলাম, ইতিহাসের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোশাররফ হোসেন, বাংলা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিক আহমেদ, লোক প্রশাসন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোকাব্বেল শেখ, দর্শন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইখতেয়ার সায়েম, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি রবিবার ভোর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী, শহীদ জিয়াউর রহমান ও মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অর্ধ-পোড়ানো কোরআন উদ্ধার করেন। এ ছাড়া শহীদ হবিবুর রহমান হলের মসজিদ থেকে কয়েকটি পাতা পোড়ানো অবস্থায় কোরআন উদ্ধার করে রাবি হল প্রশাসন। একইদিনে রাবির শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দেয়ালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) লোগো পদ্মফুলের ছবিও আঁকা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ