হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন ও র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন। এ দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আতিককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা জোনাল টিমের পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আতিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থনপুষ্ট ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। ঘটনার দিন ১৭ জুলাই এ আসামির নির্দেশে তার অধীনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার মিছিল বানচালের চেষ্টায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায়। আসামিদের কাছে থাকা বৈধ/অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত চলমান। এ অবস্থায় জামিন না দিয়ে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উত্তরা পূর্ব থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে ১৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে আতিককে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বকুল মিয়া হত্যা মামলায় গত ১৩ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার একই মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ও র্যাব-২ এর সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী। তাদের রিমান্ড শেষে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বায়ান্ন/এমএমএল/একে