ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সৈয়দপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সামনে মানববন্ধন

রেলের টিকিট কালোবাজারী ও বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাকে আলটিমেটাম

মোতালেব হোসেন : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৪১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

অদ্য ২৭শে জুলাই ২০২২ ইং তারিখে মকাল ১১ ঘটিকায় সৈয়দপুরের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হক, কৃষকলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, উদীয়মান যুবলীগ নেতা কাজী রাশেদ, ভোরের কাগজের সাংবাদিক জিকরুল হক, ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল আলম মাষ্টার, জাতীয় রেল শ্রমিক পার্টির শ্রমিকনেতা শাজাহানসহ আরো অনেকে। মানববন্ধনের মূল বিষয় সৈয়দপুরের ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী, রেলওয়ে কারখানায় অনিয়ম, দূর্নীতি, রেলের মূল্যবান ভূসম্পত্তি গ্রাসকারী ও দূর্নীতিবাজ বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (চীফ এষ্টেট অফিসার) রাজশাহী, রেলের নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে ও রনির ৬ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন আয়োজন করে সৈয়দপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ। 

মানববন্ধনে সাংবাদিক জিকরুল হক বরেন রেলের টিকিট কালোবাজারী ও মুন্সীপাড়ায় রেল কোয়ার্টার ভেঙ্গে বহুতল ভবন বানানো ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রেলে কর্তৃপক্ষ নীরব কেন? তারা কি ঘুমিয়ে থাকবে নাকি সরকারী সম্পদ ধ্বংস হবে, সাংবাদিক মোতালেব হোসেন বলেন রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পদ বেহাত হয়েছে মর্মে অভিযোগ দেওয়ার পরেও রেল কর্মকর্তাগণ কেন ঘুমিয়ে থাকে. সৈয়দপুর রেলের ৮৫ একর জমি দূর্নীিিতবাজ ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে ব্যাক্তিগত মালিকানায় চলে গেছে রেল কর্তৃপক্ষ রেকর্ড সংশোধন করাতেও ব্যার্থ হয়েছে। রেল নিয়ন্ত্রনকারী শ্রমিকনেতা মোকছেদুল মোমিন বুক ফুলিয়ে রেলের জমি দখল বানিজ্য এবং আওয়ামীলীগের পদ পদবী ব্যবহার করায় দলের জন্য লজ্জাকর হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন অবিলম্বে ভূসম্বপত্তি কর্মকর্তা ও কানুনগোসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান এবং রেলের আয় বুদ্ধি কল্পে রেলকে গতিশীল করার আহব্বান জানান। কাজী রাশেদ তার বক্তব্যে শ্রমিক নেতা মোকছেদুল মোমিনের নাম উদ্ধৃত করে বলেন এই সমস্ত দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তির জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক, আমি কোন দূর্নীতিবাজের পিছনে রাজনীতি করতে রাজি নই। এবং এই শ্রমিক নেতার ভাইজান বাহিনীর সকল অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। কৃষকলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে দূর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সৈয়দপুরে এইসকল অনিয়ন দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সম্মানে এই স্থান থেকে আন্দোলন শুরু করা হলো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা মাঠে আছি থাকবো। দূর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যুদের সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবো।